গতকাল মুর্শিদাবাদ থানার কুর্মিতলা হাইস্কুল মাঠে তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করেন তৃণমূলের সংস্কৃতি সেলের আহ্বায়ক তথা অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে জিতিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার আহ্বান জানালেন ইন্দ্রাণী।
ইন্দ্রাণী বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আদেশে আজ আমি এখানে এসেছি। আমার কথাগুলো আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী আমার উপর ভরসা করেছেন, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, পাঁচ বছর ধরে বিজেপি অনেক লেকচার দিয়েছে। কিন্তু কিছুই করেনি। মোদী বলেছিলেন, দেশে বদল নিয়ে আসবেন। পাঁচ বছরে ভারতবাসীর কোনও বদল আসেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বদল হয়েছে। তাঁর পোশাক, স্টাইল বদলেছে”।
তিনি আরও জানান, “আমাদের জীবনে বদল এনেছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। সাড়ে সাত বছরে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের আমূল পরিবর্তন করেছেন। দিদি সারাদিনে এক মিনিটের জন্য নিজের জন্য ভাবেন না। তাঁর সারাদিনের ভাবনা মানুষের উন্নয়ন। আমরা চাই, দিদি ভারতবর্ষের উন্নয়ন করুক। দিদি দিল্লিতে গেলে দেশের মানুষের আরও উন্নয়ন হবে”।
অভিনেত্রী বলেন, “ভোটের দিন মাংস-ভাত খেয়ে ছুটির আমেজে কাটানোর দিন নয়। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিন। সঠিক চিহ্নে ভোট দিয়ে পরিবর্তন নিয়ে আসার দিন। কাজেই ভোটের দিন সকাল সকাল বুথে গিয়ে জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিন এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানকে জয়ী করে দিদির হাত মজবুত করে দিল্লিতে সরকার গড়তে সাহায্য করুন”।
জনসভায় ইন্দ্রাণী হালদার আসার খবরে গত কয়েকদিন ধরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। এদিন বেলা ১২টা থেকে দলে দলে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক মাঠে আসতে শুরু করেন। বেলা ১টা নাগাদ ইন্দ্রাণী হালদার হেলিকপ্টারে গোলাপবাগ মাঠে নামেন। বেলা দেড়টা নাগাদ জনসভার মঞ্চে উপস্থিত হন। অভিনেত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে অনেকে মঞ্চে উঠে করমর্দন করেন। অনেকের অটোগ্রাফের আব্দারও মেটান ইন্দ্রাণী। এদিকে অভিনেত্রীকে সামনে থেকে দেখার জন্য, সেলফি তোলার জন্য এবং একটু কথা বলার জন্য মহিলাদের মধ্যে দেখা যায় বিপুল উচ্ছ্বাস।