ভোটের আগে আবার বিতর্কে জড়ালেন বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তাঁর নামে অভিযোগ উঠল গুলি চালানোর।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার মাঝরাতে। তৃণমূলের অভিযোগ, মামুদপুরের কুলিয়াগড়ের বিজেপি নেতা পার্থসারথি পাত্রের বাড়িতে বৈঠক করছিলেন অর্জুন। অভিযোগ, সাড়ে ১২টা নাগাদ বৈঠক শেষে ফেরার পথে একটি ক্লাবে দলবল নিয়ে ঢুকে পড়েন। সে সময়ে ক্লাবে কয়েকজন টিভি দেখছিলেন। ওই ক্লাবের সদস্যেরা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বলেই এলাকায় পরিচিত। অভিযোগ, বিজেপির লোকজন তাঁদের হুমকি দেন। নৈহাটির তৃণমূল নেতা সনৎ দে বলেন, ‘‘অর্জুন নিজেও হুমকি দেন। ক্লাবের ছেলেরা প্রতিবাদ করলে উনি রিভলভার বের করে শূন্যে গুলি চালিয়েছেন।’’ অর্জুনের লোকজন ক্লাবের বাইরে রাখা কয়েকটি মোটরবাইক ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ। পাঁচটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকার বাসিন্দারা জড়ো হয়ে গেলে বিজেপির লোকজন এলাকা ছাড়ে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জোন ১) কে কান্নন বলেন, ‘‘আমাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে”। যদিও ঘটনার সব দায় অস্বীকার করেছেন অর্জুন। তিনি জানিয়েছেন, “আমি কেন অস্ত্র বের করব?’’ পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের দলের কর্মীদের পেটানো হবে, আর আমি চুপ করে বসে থাকব! তাঁদের পাশে দাঁড়ানোই তো আমার কাজ।’’যদিও এমন কোনও ঘটনার কথা শোনাই যায়নি যে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, অর্জুন কেন বললেন “আমি কি চুপ করে বসে থাকব?” তাহলে কি তিনি পরোক্ষ ভাবে স্বীকার করে নিলেন এই হামলার কথা? উত্তর অবশ্য এড়িয়েই গেছেন অর্জুন।