জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে প্রথম দফা ভোট। আগামী ১৮ এপ্রিল জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ, দার্জিলিং-এ হতে চলেছে দ্বিতীয় দফার ভোট। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন সকলেই। আর তার সঙ্গেই চলছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পালা। গতকাল বারাসত জেলাশাসকের অফিসে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বারাকপুর ও বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের দুই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদি এবং মমতাবালা ঠাকুর।
গতকাল বেলা ১২টা ৩০নাগাদ জেলাশাসকের অফিসে আসেন মমতাবালা। তাঁর সমর্থনে এদিন অনেক মতুয়া ভক্তও হাজির ছিলেন। তাঁরা ডঙ্কা ও কাঁসর বাজাতে বাজাতে জেলা পরিষদের দিক থেকে কাছারি মাঠের দিকে এগিয়ে যান। জেলাশাসকের অফিসে ঢোকার অনেক আগেই ব্যারিকেড করা হয়েছিল। সেখানেই সমর্থকেরা থেমে যান। তারপর মমতাবালা অফিসে ঢুকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। প্রসঙ্গত, এদিন গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মবার ছিল। মমতা ঠাকুরের কথায়, এই দিনটি খুবই শুভদিন। ঠাকুরবাড়ির বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর প্রসঙ্গে মমতাবালা ঠাকুর বলেন, “এনআরসি নিয়ে মতুয়াদের ভুল বোঝাচ্ছে শান্তনু। এনআরসি চালু হলে কোনও মতুয়াদের ভোটাধিকারই থাকবে না। আমি কখনই তা হতে দেব না”।
মমতাবালার খানিকক্ষণ আগে বেলা ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ নাগাদ জেলাশাসকের অফিসে ঢোকেন দীনেশ ত্রিবেদি। তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মীও ছিলেন।তাঁর সঙ্গে বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ও এসেছিলেন। মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে তিনি জানালেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতেই এলাকার মানুষ তাঁদের সমর্থন করবেন। কে কেমন প্রার্থী, তাঁর ব্যাকগ্রাউন্ড বারাকপুরের মানুষ তা জানেন। এলাকার মানুষই বিচার করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন নিয়ে ভোট হবে। আমার মানুষের ওপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে”।
অন্যদিকে বারাকপুর ও বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম, কংগ্রেস কিংবা বিজেপির কোনও প্রার্থী এখনও মনোনয়নপত্র জমা করে উঠতে পারেননি। সূত্রের খবর, এখনও অনেকেই স্থির করে উঠতে পারেননি কবে যাবেন মনোনয়ন পত্র জমা দিতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার থেকে বনগাঁ ও বারাকপুর লোকসভার কেন্দ্রের মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা করার শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে। আগামী ২০ এপ্রিল স্ক্রুটিনি করা হবে। এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ২২ এপ্রিল।