হবিবপুর ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত জাজেইল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে যান মালদা উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম বেনজির নুর। প্রার্থীকে হাতের কাছে পেয়ে আবেগে ভেসে যান এলাকার মানুষ। মৌসমের এই প্রচারে শামিল হন কন্যাশ্রী, রূপশ্রীরাও।
কন্যাশ্রীদের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে যেভাবে মেয়েরা পড়াশোনা শিখে স্বনির্ভর হচ্ছে তা সত্যিই অবর্ণনীয়”। এই সমস্ত প্রকল্পের মাধ্যমে মেয়েদের বিশেষ স্থান তৈরি হয়েছে।
চৈত্রের প্রখর রোদে এমনিতেই মালদহের তাপমাত্রা গত কয়েকদিন ধরে চড়চড় করে বাড়ছে। তাই প্রচারে মৌসমের সঙ্গী হল তাঁর মায়ের সুতির শাড়ি আর হাতে মায়ের ঘড়ি। মা’র স্মৃতি আঁকড়েই তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। ইতিমধ্যেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রে কখনও রোড শো করে কখনও হেঁসেলে ঢুকে প্রচারে মৌসম ঝড় তুলছেন। প্রার্থীর দাবি, মায়ের সুতির শাড়ি এবং ঘড়ি তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে। তাই ভোটের প্রচারেই নয়, গুরুত্বপূর্ণ সব কাজেই তিনি মা রুবি নুরের ব্যবহৃত শাড়ি গায়ে চাপিয়ে যান। মা’র ব্যবহার করা ঘড়িটিও তাঁর সঙ্গী হয়। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে অধিকাংশ দিনই তিনি ওসব পরছেন।
প্রার্থীর কথায়, মা রুবি নুরের ব্যবহৃত জিনিসগুলি তাঁকে অনুপ্রেরণা দেয়। ওসব তাঁর শক্তির উৎসও। যেকোন শুভকাজেই তিনি মায়ের শাড়ি পরেন। মা যে ঘড়িটি পরতেন সেটাও তিনি হাতে পরেন। মৌসম মনে করেন, মায়ের ওসব আশীর্বাদ তাঁকে আজ এতদূর পৌঁছে দিয়েছে। প্রচারে বেরিয়ে বয়স্ক ভোটাররা তাঁকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করছেন। যাতে তিনি আপ্লুত হয়ে পড়ছেন।