অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রের পর্দা মাত করার পর দেব পা রেখেছিলেন রাজনীতিতে৷ নিজের দৃঢ়তা এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার মানসিকতাই তাকে ঘাটালের সাংসদ করেছিল৷ এবারেও প্রার্থী তিনি৷ প্রতিটি সভায় এবারেও উপচে পড়ছে ভিড়৷ তবে মানুষ আসছেন দেবকে শুধু দেখতে নয়, তাঁর কথা শুনতে৷
২০১৪–র লোকসভার ভোটের সময় ৭টি বিধানসভার ভোটাররা ছুটে আসতেন নায়ক দেবকে দেখতে, ছুঁতে এবং মঞ্চে তাঁর নাচ ও গান শুনতে। ২০১৯–এর লোকসভার প্রচার সভায় সেই ভোটাররাই আসছেন নায়ক দেবের রাজনৈতিক বক্তব্য শুনতে।
শনিবার দেব পিংলার দুজিপুরে এবং পাঁশকুড়ায় সভা করেন। সভাগুলিতে একের পর এক তথ্য তুলে ধরে দেব বলেন, ‘পাঁচটা বছর কম নয়। এই সময়ে কেন্দ্র না রাজ্য কোনও সরকার বেশি উন্নয়ন করেছে, কোন সরকার মানুষের কাছে বেশি পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে। সরকারের বা ব্যক্তিগত কুৎসা, অপপ্রচার করে নয়, উন্নয়নের বার্তা দিয়ে ভোট হোক৷
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও রাজ্যের মা–মাটি–মানুষের সরকারের তুলনা করে বলেন, ‘৫ বছর আগে বাংলার কৃষকের পরিবারে বছরে আয় ছিল ৯১ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে কৃষক পরিবার পিছু ৩ লক্ষ টাকা।’ লড়াই হবে রাজনৈতিকভাবে ও সৌজন্য বজায় রেখে। পাঁশকুড়াতে প্রচার সভায় বিরোধীদের প্রতি এই বার্তা দিয়েছেন দেব। উন্নয়নের নিরিখে ভোটের আবেদন জানিয়েছেন পাঁশকুড়ার মানুষের কাছে। সেই সঙ্গে কথা দিলেন, এবার জিতলে মানুষ নতুন দেবকে দেখবে। ইচ্ছে থাকলেও অনেক কাজ করতে পারেননি। এবার জিতলে সবকিছু করবেন।
সপ্তাহ দুয়েক আগে এক সভায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল তিনি সিনেমা জগতের লোক। ৫ বছরে ৫ বারও হয়তো সময় পাননি সংসদে হাজিরা দিতে। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল এই ৫ বছরে মানুষের পাশে থেকে তিনি বহুকিছু শিখেছেন। সর্বপরি মানস ভুঁইয়ার মতো রাজনৈতিক বোদ্ধাকে পেয়েছেন। যিনি তাঁকে শিখিয়ে–পড়িয়ে নিচ্ছেন। এতে তিনি অনেক কিছু জানতে, বুঝতে পেরেছেন।