নিজের এলাকাতেই রাজ্য সরকারের কোনও দপ্তরে চাকরি দেওয়া হবে শহীদ জওয়ান বাবলু সাঁতরার স্ত্রী মিতাকে। হাওড়ার চেঙ্গাইলে জওয়ানের বাড়ি গিয়ে পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে এই আশ্বাস দিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবারই শহীদ জওয়ানদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ও পরিবারের একজনকে চাকরি দেবার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সরকারি প্রতিনিধি হিসাবে চককাশীর জওয়ান বাবলু সাঁতরার বাড়িতে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক পুলক রায়ও। তাঁরা ৫ লক্ষ টাকার চেক শহীদ বাবলু সাঁতরার মা বনমালী দেবীর হাতে তুলে দেন। আর কোনওরকম সমস্যা আছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। স্ত্রী মিতা দেবীর কাছে চাকরির ক্ষেত্রে তাঁর পছন্দের বিষয়টি জানতে চান মন্ত্রীরা।
মিতা সাঁতরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মর্ডান হিস্ট্রিতে স্নাতকোত্তর। তিনি জানান, তাঁর যোগ্যতা অনুযায়ী যে কোনও কাজই তিনি করবেন। তবে যেহেতু তাঁর ৬ বছরের শিশু কন্যা এবং বৃদ্ধা শাশুড়ি রয়েছে। তাই তাঁদের কথা বিবেচনা করে, তাঁকে স্থানীয় কোনও এলাকায় চাকরির ব্যবস্থা করে দিলে উপকার হয় বলে জানিয়েছিলেন মিতা। তাঁর এই আবেদন দুই মন্ত্রীই মনোযোগ দিয়ে শুনে স্থানীয় এলাকাতেই তাঁর চাকরির বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্থানীয় বিধায়ক পুলক রায়ের কাছে মিতা সাঁতরাকে তাঁর বায়োডেটা জমা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও তাঁদের আর কোনও সমস্যা আছে কি না, মিতাদেবীর কাছে তাও জানতে চাওয়া হয়। বিধায়ক পুলক রায় বাবলু সাঁতরার পরিবারের পাশে সবসময় থাকবেন বলে তাঁদের নিশ্চিন্ত করেছেন। অরূপ রায় জানান, ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে শহিদ বাবলু সাঁতরার মা বনমালা সাঁতরার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখনই তিনি এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার এভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোয় তাঁরা কিছুটা নিরাপদ মনে করছেন।