বাংলার হাল ধরার পর থেকেই শিল্পের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগেই রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রে এসেছে উন্নয়নের জোয়ার। গতবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শেষ দিনেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ২০১৯-এ রাজারহাটে কনভেনশন সেন্টারে ৭-৮ ফেব্রুয়ারি এই সম্মেলন হবে। সেই মতো জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাস্তায় রাস্তায় হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে কনভেনশন সেন্টার।
জানা গেছে, আগেরবারের তুলনায় এবার বিদেশ থেকে অনেক বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। প্রতিনিধি দেশের সংখ্যাও বাড়ছে। এবার আসার কথা মুকেশ আম্বানি, আদি গোদরেজ, কোকাকোলার দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার কর্ণধার পি কৃষ্ণ কুমার, গেল ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান বি সি ত্রিপাঠী-সহ আরও অনেকের।
২০১৮ সালে লগ্নি এসেছিল ২,১৯,৯২৫ কোটি টাকার। শিল্পমহল মনে করছে, এবার আরও বেশি লগ্নি আসবে। তার কারণ এই এক বছরে বাংলায় আরও অনেক উন্নয়ন হয়েছে। শিল্পপতিরা যার ফলে নির্ঝঞ্ঝাটে কাজ করতে পারছেন। সমস্ত বিষয়েই নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। গতবার সম্মেলনের শেষ দিনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আগের সম্মেলনের থেকে এবার যেন আরও ভাল সম্মেলন হয়। তাঁর কথায়, ‘টপ অফ দ্য টপ।’
গতবার মােট সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১১০টি। এসেছিলেন লন্ডন থেকে লক্ষ্মী মিত্তল, মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দাল প্রমুখ। এরা সকলেই বাংলা বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই অনুযায়ী কাজও এগিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থান আরও বাড়ানাে। শিক্ষার মান বাড়াতে গতবারই বিদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হয়। কাজও শুরু হয়েছে সেই মতো। শিল্পপতিদের মধ্যে থাকবে হর্ষ নেড়েট, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, সঞ্জয় বুধিয়া, যোগী দেবেশ্বর প্রমুখ। এ বছর কত লগ্নি এল, তা ৮ ফেব্রুয়ারি জানা যাবে।