পাটনা : সামনেই বিধানসভা নির্বাচন বিহারে। তার প্রাকলগ্নেই অস্বস্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।(Bihar Assembly Election) বিহারে এনডিএ’র মধ্যে দেখা দিতে শুরু করেছে ফাটল। মঙ্গলবার প্রথম প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইতিমধ্যেই শরিক দলগুলির ভেতরে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে।
রবিবারই বিহারে আসনরফা চূড়ান্ত করেছে এনডিএ। আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দাবিকে সম্মানজনকভাবে খারিজ করে বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও জেডিইউ সমান সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২৪৩ আসনের মধ্যে ১০১টি করে আসন বিজেপি ও জেডিইউ-এর। বাকি আসনের মধ্যে ২৯টি পেয়েছে চিরাগ পাসওয়ানের দলের। অবশিষ্ট বারোটি আসন সমান দু’ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় লোকমোর্চা ও হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার মধ্যে।

এই ফর্মুলা সেভাবে ফলপ্রসূ হচ্ছে না বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। জেডিইউ দাবি করছে, তাদের পাকা আসন থেকে ভাগ দেওয়া হয়েছে চিরাগের দলকে। পাশাপাশি সোনবাসরা, রাজগির, একমা ও মোরওয়ার মতো আসনে তারা প্রার্থী দিতে রাজি হচ্ছে না।(Bihar Assembly Election) তবে এর মধ্যে দু’টি আসন শেষপর্যন্ত নীতীশের দল ছাড়তে রাজি হয়েছে। যার একটি তারাপুর, অন্যটি তেঘড়া। এর মধ্যে তারাপুরের বিনিময়ে তারা পেয়েছে বিজেপির কেন্দ্র কাহালগাঁও। এদিকে চিরাগ পাসওয়ানের দাবি, তাঁদের যে পাকা আসন, তার থেকে কিছুটা কেটে নেওয়া হয়েছে। দানাপুর, লালগঞ্জের মতো কেন্দ্রগুলির কোনওটাই তাঁকে দিতে রাজি হয়নি বিজেপি।
পাশাপাশি, রাষ্ট্রীয় লোকমোর্চা তথা আরএলএম শিবিরও অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। উপেন্দ্র কুশওয়াড়ার দাবি, মহুয়া কেন্দ্রটি তাঁর দলের কোটার মধ্যেই ছিল। কিন্তু সেটা এলজেপিকে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদে তিনি দিল্লি যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে জিতনরাম মাঝি তাঁর জন্য বরাদ্দ আসনগুলি মেনে নিয়ে প্রতীক বণ্টনও করে দিয়েছেন। কিন্তু বাকিরা খুশি নয় একেবারেই।




