নয়াদিল্লি : ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের পথে হেঁটেছে মোদী সরকার। রেল, সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ, বন্দর, যে মন্ত্রকগুলির পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ সবথেকে বেশি, সেই মন্ত্রকগুলির হাতে থাকা স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে, লিজ দিয়ে বা চুক্তির মাধ্যমে বেসরকারিকরণ করে আয়ের ছক কষেছে তারা। এবার দেশের বিদ্যুতের বাজার বেসরকারি সংস্থার জন্য খুলে দিতে চায় কেন্দ্র। এ বিষয়ে নতুন একটি বিল আনতে চলেছে তারা। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ধুঁকতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির উপর থেকে হাত তুলে নিতে চাইছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে একাধিক মহলে।
বর্তমানে দেশের হাতেগোনা কয়েকটি এলাকা ছাড়া বেশিরভাগ এলাকাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। রাজধানী দিল্লি সংলগ্ন এলাকা, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মতো রাজ্য বা কলকাতার মতো শহরে বেসরকারি সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বাকি দেশের বেশিরভাগ প্রান্তেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এই সংস্থাগুলির বেশ কয়েকটি লোকসানে চলছে।

রয়টার্সের দাবি অনুযায়ী, বিদ্যুৎ মন্ত্রক নতুন যে বিলের খসড়া প্রস্তুত করেছে সেই খসড়া অনুযায়ী, সব এলাকায় বেসরকারি সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে। এবং একই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একাধিক সংস্থা দরপত্র ডাকতে পারবে। বর্তমান আইনে এর সংস্থান ছিল না। সরকারের বক্তব্য, এর ফলে নাকি সস্তায় ভালো পরিষেবা দেওয়া নিয়ে সংস্থাগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা দেখা যাবে। আর তাতে লাভবান হবেন গ্রাহকেরা। তবে অধিকাংশের মতে, নতুন এই আইন এলে গ্রাহকদের খরচ বাড়বে অনেকটা। উলটে আদানি, টাটা বা সিইএসসির মতো কর্পোরেট সংস্থাগুলিই লাভবান হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালেও এই ধরনের বিল আনার চেষ্টা করেছিল মোদী সরকার। তবে সেবার রাষ্ট্রায়ত্ত কর্মীদের আপত্তিতে সেটা সম্ভব হয়নি। এবারও এই বিল পেশ হলে প্রবল বিরোধিতার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।




