প্রতিবেদন : সম্প্রতিই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের দিকে জুতো ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন আইনজীবী রাকেশ কিশোর। এবার তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল বেঙ্গালুরু পুলিশ। রাকেশ কিশোরের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু হয়েছে। ঘটনার দিনই তাঁর ওকালতির লাইসেন্স নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করে দেয় বার কাউন্সিল। এবার এফআইআর রুজু হওয়ায় আরও বিপাকে পড়লেন রাকেশ।
গত ৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তাকর্মীরা অভিযুক্তকে ধরে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেন। সেই দিন প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করার পরে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশ। দিল্লি পুলিশ ওই সময় জানায়, সুপ্রিম কোর্ট থেকে কোনও রকম অভিযোগ না পাওয়ার কারণেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্যও করেন রাকেশ।
অভিযুক্তকে দিল্লি পুলিশ ছেড়ে দিলেও এ বার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বেঙ্গালুরুর বিধান সৌধ থানায়। অভিযোগকারীও এক আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, বিচার ব্যবস্থার মর্যাদা রক্ষার জন্যই তিনি এই অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রাকেশের বিরুদ্ধে ‘জিরো এফআইআর’ (অন্য থানায় স্থানান্তরযোগ্য এফআইআর) রুজু করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩২ ধারা (বিচারপতির কাজে বাধা) এবং ১৩৩ ধারা (কাউকে অপমান করার উদ্দেশে অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ)-য় রুজু হয়েছে এফআইআর।
ঘটনার নিন্দা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত জঘন্য কাজ। কার্যত ভারতের সংবিধানের উপর হামলা।” মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় একই সুরে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন, কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীও। তাঁর কথায়, “প্রধান বিচারপতির উপর আক্রমণের নিন্দা করার কোনও শব্দ নেই। এটি কেবল তাঁর উপরই নয়, আমাদের সংবিধানের উপরও আক্রমণ।’’ ঘটনার নিন্দায় সরব হন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও।




