লখনউ : মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশজুড়ে বারবার প্রকট হয়েছে ধর্মীয় মেরুকরণের প্রতিচ্ছবি। একদিকে যেমন মাথাচাড়া দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদ, তেমনই প্রকাশ্যে এসেছে সংখ্যালঘুদের উপর হেনস্থার ঘটনা। এবার সংখ্যালঘু হওয়ার ‘অপরাধে’ আসন্নপ্রসবা মহিলাকে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দিলেন চিকিৎসক! ঘটনাটি বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশের(Uttarpradesh )জৌনপুর জেলা। চিকিৎসকের এহেন ধর্ম দেখে চিকিৎসা করতে অস্বীকার করার ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
অভিযোগ, জেলার সরকারি হাসপাতালে ডেলিভারির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অন্তঃসত্ত্বাকে। তাঁকে চিকিৎসক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “আমি মুসলিম মহিলার চিকিৎসা করব না।” ঘটনাটি সামনে আসে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওর মাধ্যমে। বিতর্ক আরও তীব্র হয়, যখন ওই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর অভিযোগে দু’জন স্থানীয় সাংবাদিক, মায়াঙ্ক শ্রীবাস্তব ও মোহাম্মদ উসমানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তাদের অভিযোগ, ওই দুই সাংবাদিক জোর করে লেবার রুমে ঢুকে ভিডিও তোলেন এবং হাসপাতালের অন্দরের ক্ষতি করেন।
জানা গিয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বিড়িবাড়ি গ্রামের(Uttarpradesh )বাসিন্দা শামা পারভিনকে প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে জেলার স্থানীয় মহিলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন কর্তব্যরত ছিলেন এক মহিলা চিকিৎসক।
এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে শামা পারভিনকে বলতে শোনা যায়, “চিকিৎসক বললেন, আমি মুসলিম মহিলার চিকিৎসা করব না। তোমার ডেলিভারি করাব না। নার্সকেও বলেন, যেন আমাকে অপারেশন থিয়েটারে না নেওয়া হয়। আমাদের পরিবারকে স্পষ্ট বলে দেন, আমাকে যেন অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়।” এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সরব হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির মছলিশশহরের বিধায়ক রাগিণী সোনকর। “এই ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। রাজ্যজুড়ে যেভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ছড়ানো হয়েছে, তারই ফল এটা। কোনও প্রসবযন্ত্রণায় কাতর নারী মিথ্যা অভিযোগ করেন না”, জানান তিনি।




