প্রতিবেদন : সোমবার প্লাবনবিধ্বস্ত নাগরাকাটা-হাসিমারা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।(North Bengal Disaster)আর মঙ্গলবার মিরিকে যাচ্ছেন তিনি। ঘুরে দেখবেন বিপর্যস্ত এলাকা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাস্তা খারাপ রয়েছে। তবে যতটা সম্ভব তিনি যাবেন। পাশাপাশি তদারকি করবেন উদ্ধারকাজেও।
দুর্যোগে(North Bengal Disaster)প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে মিরিকের সৌরেনী গ্রাম। ভেসে গেছে একাধিক ঘরবাড়ি। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মিরিক। সৌরেনি গ্রামের একটি ঘর থেকেই ৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই বাড়িতে ১০-১৫ জন থাকতেন। উদ্ধারকারীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। ওই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের আশ্রয় হয় হাসপাতাল বা ত্রাণশিবিরে। ৭-৮ জন এই এলাকার মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। সোমবার সকালে পে লোডারে করেপর্যটকদের হলং নদী পাড় করানো হয়।
বিজেপি নেতা খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষের উপর জনসাধারণের হামলার জন্য রাজ্য ও শাসকদলের নাম জড়ানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পোস্টের তীব্র নিন্দা করে পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী কোনও যাচাই করা প্রমাণ, আইনি তদন্ত বা প্রশাসনিক প্রতিবেদন ছাড়াই তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সরাসরি দোষারোপ করেছেন। এটি কেবল নিম্নমানের রাজনীতির উদাহরণ নয়, এটি প্রধানমন্ত্রী যে সাংবিধানিক নীতি বজায় রাখার শপথ নিয়েছেন তারও লঙ্ঘন। যে কোনও গণতন্ত্রে আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হয়। মমতার কথায়, কোনও রাজনৈতিক টুইট নয়, কেবলমাত্র আইনি প্রক্রিয়াই দোষী চিহ্নিত করতে পারে।
নাগরাকাটায় পৌঁছে ত্রাণশিবিরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। যাঁদের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট নেই, তাঁদের অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার জন্য পুলিশ ও জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন।




