জয়পুর: দুর্ঘটনার আগে থেকেই ক্রমশ হেলে পড়ছিল স্কুল। এমনকী ছাদের একাংশ থেকে বালি-পাথরও ভেঙে পড়ছিল। তবে তা নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না কর্তৃপক্ষের। পড়ুয়ারা আগেই শিক্ষকদের সাবধান করেছিল। কিন্তু তাতেও শিক্ষকরা পাত্তা দেননি। পরে এহেন দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল রাজস্থানের ঝালাওয়াড়ের ওই স্কুলের পড়ুয়ারা।
রাজস্থানের ঝালাওয়াড় জেলায় সরকারি স্কুলের ছাদ ভেঙে সাত পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, খুদে পড়ুয়ারা আগেভাগেই জানিয়েছিল স্কুলের বেহাল দশার কথা। এমনকী শ্রেণিকক্ষের বাইরে নিয়ে যাওয়ারও অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তাদের কথায় গুরুত্ব না-দিয়ে উল্টে বকাবকি করেন শিক্ষকেরা। বর্তমানে, কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগে ওই স্কুলের পাঁচ শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে স্কুল কর্তৃপক্ষ কী স্কুলের ভগ্নপ্রায় দশা আগে থেকে দেখেননি?

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঝালাওয়াড়ের মনোহর থানা এলাকার পিপলোড়ি গভর্নমেন্ট স্কুল ভবনের ছাদের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। সেই সময় স্কুল চলছিল। সকালের প্রার্থনায় অংশ নিয়েছিল প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন তাদের অনেকেই। স্থানীয়রা অনেককে উদ্ধার করলেও সাত জনকে বাঁচানো যায়নি। আহত হয়েছে ২১ জন। এই ঘটনার পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়েরা।
অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়া জানায়, “ছাদ থেকে বালি-পাথর ঝরে পড়ছিল। আমরা শিক্ষকদের বিষয়টা জানাই। তাঁরা আমাদের বকেন। তখন তাঁরা প্রাতঃরাশ করছিলেন। যদি ওই সময়েই সবাইকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বার করা যেত, তা হলে হয়তো সবাই বেঁচে যেত।” আর এক পড়ুয়ার কথায়, “সকালের প্রার্থনায় অংশ নিতে শ্রেণিকক্ষের ভিতর আমরা বসেছিলাম। শিক্ষকেরা প্রাতঃরাশ করছিলেন। তখনই ছাদ থেকে বালি-পাথর পড়ছিল। আমরা বিষয়টি জানালেও শিক্ষকেরা গুরুত্ব দেননি। উল্টে আমাদের বকাঝকা করে নিজেদের আসনে বসতে বলেন।”




