প্রতিবেদন : বিশ্বফুটবলের আঙিনায় আচমকাই নেমে এল শোকের ছায়া। অকালপ্রয়াত হলেন পর্তুগিজ ফুটবলার দিয়োগো জোটা। স্পেনে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ বছর বয়সী ফুটবলারের। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই আন্দ্রে। প্রয়াত হয়েছেন তিনিও।
বৃহস্পতিবার জোটার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন পর্তুগালের ফুটবল সংস্থার প্রধান পেদ্রো প্রোয়েনসাও। এক বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, “পর্তুগালের ফুটবল সংস্থা এবং পর্তুগাল ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত সকলে এই খবরে বিধ্বস্ত। জাতীয় দলের হয়ে ৫০-এর কাছাকাছি ম্যাচ খেলেছিল। মানুষ হিসাবে অসাধারণ ছিল জোতা। সতীর্থ, বিপক্ষ সকলেই ওকে সমীহ করত।”
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ভাই আন্দ্রের সঙ্গে একটি সুপারকারে চেপে যাচ্ছিলেন দিয়োগো। চলাকালীন একটি গাড়িকে ওভারটেক করা চেষ্টা করেন তাঁরা। সেই সময়ে আচমকাই গাড়ির একটি চাকা ফেটে যায়। ছিটকে পড়ে যায় গাড়িটি। দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্পেনের এমার্জেন্সি সার্ভিস। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নিয়ে পরে বিবৃতিও দেওয়া হয় তাদের তরফে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে স্পেনের জামোরা প্রদেশের সের্নাদিলা অঞ্চলে।
ইংল্যান্ডের লিভারপুল ক্লাবের হয়ে খেলতেন জোটা। ২০২০ সালে উলভারহ্যাম্পটন থেকে লিভারপুলে যোগ দিয়েছিলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। এরপর তৎকালীন কোচ য়ুর্গেন ক্লপের দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন তিনি। গত মরসুমে লিভারপুলের লিগ জয়ী দলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। খেলেছিলেন ২৬টি ম্যাচ। দু’সপ্তাহ আগেই জোটা বিয়ে করেছিলেন দীর্ঘদিনের বান্ধবী রুতে কার্দোসোকে। তিন সন্তানও রয়েছে তাঁদের।