কলকাতা : অগ্নিনির্বাপণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের পথে হাঁটল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল যে শুধুমাত্র কলকাতা নয়, রাজ্যের কোনও পুরসভা বা পঞ্চায়েত এলাকায় রুফটপ রেস্তোরাঁ করা যাবে না। ছাদ খোলা রাখতে হবে। খোলা রাখতে হবে সিঁড়িও। ৩০ দিনের মধ্যে এনিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের পর তা পলিসি আকারে জমা দেওয়া হবে মন্ত্রিসভায়। পাশাপাশি ‘থার্ড পার্টি’ অর্থাৎ নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে ফায়ার অডিটের কাজও শুরু হবে সারা রাজ্যজুড়ে।(Kolkata Municipal Corporation)
Read More: চাপের মুখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার! বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানালেন ইউনূস
সম্প্রতিই অগ্নিনির্বাপণ বিধি তৈরির জন্য ‘ফায়ার সেফটি অ্যান্ড রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স’ বিজ্ঞপ্তি জারি করে দু’টি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও ১৫ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন বিদ্যুৎ ও আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান-সহ এই বিভাগগুলির প্রধান সচিব, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা), পুর কমিশনার এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার প্রমুখ।(Kolkata Municipal Corporation)
বৈঠকের পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “স্টেট লেভেল কমিটির সিদ্ধান্ত ৩০ দিনের মধ্যে এ নিয়ে চূড়ান্ত মিটিং করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের পর সেটা পলিসি আকারে ক্যাবিনেটে জমা দেওয়া হবে এবং জেলাভিত্তিক কমিটির রিপোর্ট মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি হবে। জমা দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই ক্যাবিনেট বৈঠকে পেশ করা হবে।”
কিছুদিন আগে বড়বাজার অঞ্চলে মেছুয়ায় হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যুর পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, সব বহুতল বাণিজ্যিক আবাসনের ছাদ খোলা রাখতে হবে। এদিন পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “কলকাতার মতো জেলা শহর ও পঞ্চায়েত এলাকায় দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে আধুনিক হাসপাতাল, শপিং মল, হোটেল, রেস্তরাঁ। তাই এমন নিয়ম করা হবে যা গোটা রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1928044906871677211
এদিন প্রস্তাবিত নতুন অগ্নিনির্বাপণ বিধির খানিক আভাসও দিয়েছেন কলকাতার মহানাগরিক। “ছাদ যেমন বিক্রি করা যাবে না, তেমনই প্রতিটি বাণিজ্যিক বহুতল অথবা হাসপাতালের অগ্নিসুরক্ষা বিধি যাচাই করতে থার্ড পার্টি অডিট বাধ্যতামূলক করা হবে। আবাসনের নির্মাণ স্থায়িত্ব যাচাইয়ের পর প্ল্যান অনুমোদন করা হবে”, জানিয়েছেন ফিরহাদ।
পাশাপাশি মেয়রের কথায়, সব দফতরের মতামত এবং জেলাশাসকদের তথ্য মিলিয়ে রিপোর্ট তৈরি হবে। রিপোর্টে পুলিশ, আবগারি, আবাসন ও বিল্ডিং বিভাগের মতামত নেওয়া হবে। বৈঠকে সব জেলা থেকে তথ্য তলব করা হয়। ১৫ দিন পর ফের বৈঠক হবে। প্রতিটি বাণিজ্যিক অথবা বহুতল আবাসনে অগ্নিনির্বাপণের জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োগের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছে পুরসভা সূত্র।