বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই নারী ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করেছেন একাধিক প্রকল্পের সূচনা। রাজ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছে ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপ্রশ্রী’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রভৃতি প্রকল্পগুলি। ক্রমেই বাংলার মহিলাদের ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। এই প্রকল্পের টাকাতেই পাট দিয়ে তৈরি হস্তশিল্পের কাজ শুরু করেছেন ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধওলাগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা বিষ্ণুপ্রিয়া রায়। নিজের উদ্যোগে বাড়িতে উপকরণ এনে তৈরি করছেন বিভিন্ন পাটের সামগ্রী। জিনিস তৈরি হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তা প্রচার করেন। আগের থেকে বর্তমানে বিক্রিও অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলের সদস্য হিসেবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ব্যবস্থা করা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাট দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরির কাজ শিখে নিয়েছিলেন। কিন্তু কীভাবে ব্যবসা শুরু করবেন তা বুঝতে পারছিলেন না। ঠিক সেই সময় তাঁর মুশকিল আসান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। কয়েক মাসের টাকা জমিয়ে সেই টাকা দিয়েই ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে এই ব্যবসার উপর নির্ভর করেই সংসার চলছে বিষ্ণুপ্রিয়ার। সম্প্রতি ময়নাগুড়ি থানায় নিজের তৈরি জিনিস নিয়ে হাজির হন। পাটের তৈরি বিভিন্ন উপকরণ দেখে খুশি হন ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ। পাটের তৈরি বিভিন্ন ফুলদানি, ফুলের তোড়া, বিভিন্ন ব্যাজ, নানা ধরনের দেওয়াল চিত্র তৈরি করেন এই শিল্পী। থানার আইসি সমস্ত জিনিস দেখে খুশি হন এবং তাঁর নিজের পরিবারের জন্য বেশ কিছু জিনিস কিনে নেন। এমনকী এই হস্তশিল্পের এবং শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। আইসি জানান, “বিদেশি জিনিস না কিনে এই ধরনের সুন্দর পাটের তৈরি জিনিস কিনুন। তাহলে হস্তশিল্প এবং শিল্পীরাও বাঁচবেন।” এদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পেয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পেরে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিষ্ণুপ্রিয়া। “রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর কীভাবে ব্যবসা শুরু করব তা বুঝতে পারছিলাম না। সেই সময় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা দিয়েই প্রথম শুরু করি এই ব্যবসা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মেয়েদের স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই”, জানান তিনি।