UNICEF ১১ তম বছরে পা রাখল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’। আজ, ১৪ আগস্ট রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে কন্যাশ্রী দিবস। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর স্কুলছুট মেয়েদের পড়াশোনার উন্নতি এবং বাল্যবিবাহ আটকানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেন। কালক্রমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে তা। ইউনেস্কোর কাছে বিশেষ স্বীকৃতিও পায় এই প্রকল্প। এবার কন্যাশ্রীর ভূয়সী প্রশংসা করল ইউনিসেফও।
আরও পরুনঃ১১ বছরে পা রাখল বিশ্ববন্দিত ‘কন্যাশ্রী’ – মেয়েদের স্বপ্নপূরণের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
কন্যাশ্রীর মতো মেয়েদের স্বনির্ভর করার প্রকল্প শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলেই মত প্রকাশ করেছে তারা। বুধবার কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি আরিয়ান দে ওয়াগত। তিনিই কন্যাশ্রী প্রকল্পের ভূয়সি প্রশংসা করেন। ‘‘কন্যাশ্রী প্রকল্প নারীদের সশক্তিকরণে বড় ভূমিকা নিচ্ছে। শিশুদের পুষ্টি, বৃদ্ধি নিয়ে ইউনিসেফ যে সব কাজ করছে সেগুলি কন্যাশ্রীর কারণে আগের থেকে বেশি সফল হচ্ছে। এই প্রকল্প কিশোরীদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করছে। বাল্যবিবাহ রোধে বড় ভূমিকা নিচ্ছে’’, বলেন আরিয়ান দে ওয়াগত।
লিঙ্কঃhttps://x.com/ekhonkhobor18/status/1824349915486593155
উল্লেখ্য, এদিনের অনুষ্ঠানে ৩৬ জন কন্যাশ্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু ও বীরবাহা হাঁসদা। ছিলেন চিকিৎসক সাংসদ ডা. শর্মিলা সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রত্যেকেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘কন্যাশ্রী গোটা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত।’’ এদিন শশী পাঁজা রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে জানিয়ে দেন, কন্যাশ্রী প্রকল্প কীভাবে রাজ্যের বাল্যবিবাহের প্রবণতা কমিয়েছে। ‘‘বাল্য বিবাহ রুখতে ২০২২ সালে একটি পরিকল্পনা করা হয়। তার প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একটি বিশেষ পোর্টাল তৈরি করা হয়। যার মাধ্যমে নাবালিকাদের ট্র্যাক করা যায়। এই পোর্টালের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা যুক্ত আছেন। বিয়ে দেওয়ার কাজে যুক্ত থাকা সমস্ত ব্যক্তি বা এজেন্সিকে বাল্যবিবাহ নিয়ে সচেতন করা হয়েছে’’, জানান তিনি।
UNICEF




