ফের পেনশনভোগীদের কাঠগড়ায় মোদী সরকার। প্রসঙ্গত, প্রায় দীর্ঘদিন যাবৎ পেনশন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন ইপিএস-৯৫ প্রকল্পের আওতাধীন পেনশনভোগীরা। ইপিএস-৯৫ পেনশনভোগীদের সর্বভারতীয় সংগঠন ন্যাশনাল অ্যাজিটেশন কমিটি বছরের পর বছর ধরে পেনশন বৃদ্ধির দাবিতে প্রতিবাদে সরব। কিন্তু দেশের প্রায় ৭৭ লক্ষ পেনশনভোগীর কথায় আমল দিচ্ছে না মোদী সরকার। কেন্দ্রের এহেন মনোভাবের বিরুদ্ধে এবার মুখর হলেন ছোদ মোদী-ঘনিষ্ঠ বিজেপি সাংসদ ভারতসিনজি এস দাভি। কেন্দ্রের শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যকে লিখিতভাবে তিনি জানিয়েছেন, প্রবীণদের যা সামান্য পেনশন দেওয়া হয়, তাতে আজকের কঠিন পরিস্থিতিতে দুধ বা আনাজটুকুও কেনা যায় না। সাত বছর আগে পেনশন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র। তবে প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি। এখন ওই প্রকল্পের আওতাধীন পেনশনভোগীদের মাসে মাত্র ৩০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে পেনশন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। দ্রুত সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ।
স্বাভাবিকভাবেই প্রবল অস্বস্তিতে শাসকদল বিজেপি। পাটানের সংসদ চিঠিতে সাফ দাবি করেছেন, গুজরাতেই ১৫ লক্ষ পেনশনভোগী পেনশনের নামে যা পান, তাতে আজকের বাজারে দিন চলে না। ন্যাশনাল অ্যাজিটেশন কমিটির রাজ্য শাখার সভাপতি তপন দত্ত বলেন, এই প্রথম বিজেপির কোনও সাংসদ তাঁদের পক্ষ নিয়ে সরব হয়েছেন, এমন নয়। এর আগে হেমা মালিনীও তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একাধিকবার দরবার করেছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু সমাধান হয়নি। মহারাষ্ট্রের বুলদানায় বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁদের রিলে অনশন চলছে। অনশনের কথা শুনে চিন্তিত হয়ে পড়েন সাংসদ হেমা মালিনী। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি অশোক রাউত এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র সিংকে নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু আজও কোন সুরাহা মেলেনি। গুজরাতের সংসদ দাভি যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। সংগঠনটি সাড়ে সাত হাজার টাকা পেনশন-সহ অন্যান্য দাবিদাওয়া নিয়ে লড়াই চালাচ্ছে। সেই মর্মে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে সংগঠনের তরফে।