২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবার পর থেকেই বঙ্গ বিজেপিতে ফের শুরু শনির দশা! কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে পদ্মশিবিরের ‘চারশো পার’-এর হুঁশিয়ারি। দেশে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ২৪০ ছুঁতেই নাভিশ্বাস উঠেছে তাদের। বাংলার বুকেও ফল হয় শোচনীয়। অতিসম্প্রতি রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও বয়েছে সবুজ ঝড়। চারটি কেন্দ্রেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল। ধরাশায়ী গেরুয়াশিবির। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে, একে একে কমছে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা। একুশের নির্বাচনে ৭৭টি আসনে জিতেছিল তারা। কিন্তু তারপরই বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন দুই সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক।
এরপর শান্তিপুর ও দিনহাটা উপ নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল। ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও জয়ী হয় তারা। শনিবার বিজেপির দখলে থাকা তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র উপনির্বাচনের মাধ্যমে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। মানিকতলা বিধানসভা আগেও তৃণমূলের দখলে ছিল। একুশের নির্বাচনে বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ এবং রায়গঞ্জ বিধানসভায় জয়ী হয়েছিল বিজেপি। উপনির্বাচনে তিনটি জায়গাতেই পরাজিত হয়েছে তারা। অন্যদিকে, বিজেপির একাধিক বিধায়ক ধাপে ধাপে ভিড়ে গিয়েছেন তৃণমূলে। তালিকায় আছেন মুকুল রায়, তন্ময় ঘোষ, সুমন কাঞ্জিলাল, হরকালি প্রতিহার। রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন এখনও বাকি রয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি তৃণমূলের দখলেই ছিল। ছ’টি কেন্দ্রেই জয় আসবে বলে আশাবাদী ঘাসফুল-নেতৃত্ব। পাশাপাশি, দুশ্চিন্তা বাড়ছে পদ্ম-নেতৃত্বের অন্দরমহলে।
