এবার বিজেপির সংগঠনের দিকে আঙুল তুলে দিলেন খোদ দলের এক শীর্ষ নেতাই। তাঁর অভিযোগ, দলের সংগঠনে কোনও পেশাদারি লোকই নেই। অযথাই সংগঠনের মাথা ভারী হয়ে গেছে। বুথ থেকে শুরু করে দলের বিভিন্ন স্তরে অসংখ্য পদাধিকারী আছেন। কিন্তু তাঁদের কাজ নির্দিষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার জাতীয় গ্রন্থাগারে বিজেপির এক বৈঠকে এ ভাবেই নিজেদের সমালোচনায় মুখর হলেন বিজেপির ওই শীর্ষ নেতা। একইসঙ্গে দিলেন পরামর্শও। তাঁর মতে শীঘ্রই সংগঠনে আরও পেশাদারিত্ব আনা দরকার। এবং তা লোকসভা ভোটের আগেই।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গুজরাটে দলের সর্বভারতীয় মহিলা মোর্চার কনভেনশনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ওই মোর্চার রাজ্য নেতৃত্ব-সহ প্রায় ৫০০ কর্মীর। কিন্তু স্টেশনে গিয়ে নেতা-কর্মীরা দেখেন, কোনও বিশেষ ট্রেন বা আলাদা কামরার ব্যবস্থা তো করতেই পারেননি দলীয় নেতৃত্ব। এমনকি অন্য কোনও ট্রেনেও তাঁদের জন্য কোনও আসন সংরক্ষণ করা নেই। যা নিয়ে দলের একাংশ যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে।
দলীয় সূত্রে খবর, এ দিনের বৈঠকে সে প্রসঙ্গ তুলেই ওই নেতা জানান, কার কী কাজ তা নির্দিষ্ট থাকলে এমন গোলযোগ হত না। ভবিষ্যতে দলের বিভিন্ন মোর্চার বিষয়ে নেতৃত্বের আরও সতর্ক থাকা উচিত। এরপরই বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, এবার থেকে রাজ্য এবং জেলা স্তরের কোনও পদাধিকারীই আর লোকসভা ভোটে লড়তে পারবেন না। কারণ, তাঁরা প্রার্থী হলে ভোটের সাংগঠনিক প্রস্তুতি ব্যাহত হতে পারে।
তবে কৈলাসের এমন ঘোষণার পরে আবারও নতুন করে ক্ষোভের সঞ্চার হয় দলের একাংশের মধ্যে। তাঁদের প্রশ্ন, এমন প্রস্তাব কি আদৌ বাস্তবসম্মত? রাজ্য এবং জেলা স্তরের পদাধিকারীদের সকলকে বাদ দিলে এত প্রার্থী পাওয়া যাবে কোথায়? তবে কি বাইরে থেকে লোক এনেই প্রার্থী করা হবে? ব্রাত্য থেকে যাবেন দলের এতদিনের রাজ্য এবং জেলার নেতারা! এ নিয়েই এখন জোর গুঞ্জন চলছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।