রাজ্য জুড়ে একের পর এক জায়গায় ‘গুণ্ডামি’ করে চলেছে বিজেপি, এমনই মত রাজনৈতিক দলগুলির৷ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে তাদের উদ্দেশ্য শুধু একটাই, সন্ত্রাসের পরিস্থতি জারি রেখে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত করা। সেই লক্ষ্যেই বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গাতে হামলা চালাচ্ছে তারা। মাত্র কয়েক দিন আগেই বিনপুরে হাঁড়দাতে দুই তৃণমূল কর্মীর উদ্দেশ্যে গুলি চালায় তারা। ধুপগুড়িতে বিজেপির মিছিল থেকে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর, সেই সভা থেকে ফেরার সময়তেই বিজেপি কর্মীদের গাড়ির ধাক্কায় মারা যান এক তৃণমূল কর্মী। রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করতেই এহেন কার্যকলাপ বিজেপির। এবার খানাকুলেও একই ভাবে তৃণমূল কর্মীকে মারধোরের দায়ে অভিযুক্ত বিজেপি।
রবিবার সকালে অত্যন্ত নিন্দনীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের নাঙুর পাড়া গ্রামে। আহত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ সাবির। ওই অঞ্চলে দলের সক্রিয় কর্মী হিসাবে সুপরিচিত তিনি। এলাকায় যে কারোর সমস্যায় এগিয়ে আসেন সাবির। তাঁর অভিযোগ, রবিবার সকালে তাঁকে বাড়ির সংলগ্ন এলাকারই একটি ক্লাবে ঢুকিয়ে প্রচণ্ড মারধোর করে এলাকারই কিছু দুষ্কৃতী। সূত্রের খবর, তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগেছে।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে যেতেই দলীয় কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পোল-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ আসিক ইকবাল। তাঁদের দেখেই পালিয়ে যায় বিজেপির ‘গুণ্ডারা’। এই ঘটনার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দোষীদের শাস্তির দাবীতে প্রতিবাদ মিছিল বার করা হয়।
অন্যান্য বারের মতই ঘটনার দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করে এক বিজেপি নেতা বলেছেন, ‘খানাকুলে বিজেপিকে কিছুই করতে হয়না। তৃণমূল নিজেদের মধ্যেই লড়াই করে এটাও তেমনই একটা ঘটনা।’ যদিও তিনি নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি। এখান থেকেই তার বক্তব্যের স্বচ্ছতা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে এমনই জানিয়েছেন দলীয় কর্মীরা৷
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আসিক ইকবাল বলেছেন, ‘ সন্ত্রাস ছড়ানোই বিজেপির লক্ষ্য। অশান্তি মারধোর করে ওরা এলাকার দখল নিতে চাইছে। আমরা গণতন্ত্রের পথেই চলব তাই খানাকুল থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছি৷ প্রশাসনের প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে আমাদের।’ যতই সন্ত্রাসের সৃষ্টি করতে চাক বিজেপি, তবুও রাজ্যের মানুষ উন্নয়নের প্রতিই আস্থা রাখবে এমনটাই জানিয়েছে প্রশাসন৷