‘রথযাত্রা’ করার প্রস্তুতি নিয়েছে পদ্মশিবির। পোস্তা এলাকায় তাদের তৎপরতা কিছুটা বেশী। তাইজন্যই মমতার কটাক্ষ, রথ যাত্রা তো নয়, যেন ফাইভস্টার হোটেল। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির নেতাদের ‘রথ’-এর অন্দরসজ্জা আর বৈভব নিয়ে নানা বিষয় এর আগে সামনে এসেছে। সেই বিষয়টিকেই খোঁচা দিতে রথকে ফাইভ স্টার হোটেলের সঙ্গে তুলনা করেছেন মমতা।
ভাষণে প্রথম থেকেই বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে বিজেপি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে’। কংগ্রেস- সিপিএমকেও আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ‘সিপিএমের সময় বড়বাজারের দাঙ্গা আমি দেখেছি। বিজেপিও একই রাস্তায় হাঁটতে চাইছে। ওরা শুধু ভোটের সময় আসে। তারপর ওদের আর দেখা যায় না। এরা মানুষের সুখ-দুঃখে থাকে না’।
পোস্তা বাজার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ওই জগদ্ধাত্রী পুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনতে ভিড় করেছিলেন বড়বাজার ও পোস্তার হাজার হাজার ব্যবসায়ী। তাঁদের মমতা বলেন, ‘নোটবন্দির এই দু’বছরে আপনাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অপেক্ষা করুন। নতুন দিন আসছে। আপনারা নিজেরাই ক্ষতিপূরণ করতে পারবেন। বিজেপি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা চাইছে। কৃষক আর মজদুরদেরও হয়রান করছে। ওরা মানুষের কথা ভাবে না। সেটা ওদের পার্টি অফিস দেখলেই বোঝা যায়।’ বিজেপি-কে রাজনৈতিক আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘এরা পতাকা লাগিয়ে গুন্ডামি করছে। বাইকবাহিনী বাড়িয়ে দিয়েছে। ভেদাভেদ সৃষ্টি করছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্যামসুন্দর আগরওয়াল, সীতানাথ ঘোষ, গৌতম গুপ্ত প্রমুখ। ছিলেন সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জি, মন্ত্রী শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং স্মিতা বক্সী ও নয়না ব্যানার্জি।