উন্নয়নেই বাজিমাত মমতার। রাজ্যবাসীকে একের পর এক উপহার দিয়েই চলেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল আলিপুরের এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে, উত্তরের রাজারহাট ও হাড়োয়ার সঙ্গে দক্ষিণের ভাঙড়–২ নং ব্লকে পরিশ্রুত পানীয় জলের প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন তিনি।
পাশাপাশি, কাল ভাঙড়ের হাতিশালা ও হাড়োয়াতে দুটি আলাদা অনুষ্ঠান করে সংশ্লিষ্ট দফতর। ভাঙড়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন সাংসদ সুব্রত বক্সি, সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী–সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, সভাধিপতি শামিমা শেখ, ভাঙড়ের বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা প্রমুখ।
রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের ফলে ভাঙড়–২ নং ব্লকের ৬০ হাজার পরিবার দৈনিক পরিস্রুত পানীয় জল পাবে। উপকৃত হবেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ। ইতিমধ্যেই নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া ১–এ একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করা হয়েছে। গঙ্গা থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে নিউ টাউনে আসা অপরিশোধিত জল পরিশ্রুত হয়ে আবার পাইপ লাইনের মাধ্যমেই পৌঁছে যাবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩টি ব্লকে। প্রায় ১০৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের ফলে তিনটি ব্লকের ৮ থেকে ৯ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় পুরো প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর। প্রকল্পের আওতায় আসা রাজারহাট, হাড়োয়া ও ভাঙড়–২ নং ব্লকের বাসিন্দাদের বক্তব্য, পরিশ্রুত পানীয় জলের এই প্রকল্পটির উদ্যোগ নেওয়ায় তাঁদের বহুদিনের প্রয়োজন মিটতে চলেছে।
ভাঙড়ের সভায় সাংসদ সুব্রত বক্সি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন প্রকল্প করে টাকা নয়, টাকা হাতে নিয়ে কাজে নামুন। এই প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নে টাকার কোনও অভাব হবে না। কাজও চলবে জোরকদমে।’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিমা শেখ বলেন, ‘সমস্ত নাগরিককেই এই প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে। সকলের সহযোগিতায় প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ হবে বলে আমরা আশাবাদী।’