দুঁদে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির বাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির ভিতর থেকে ২০টি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরক সমেত গাড়িটি আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার কাছে কারমাইকেল রোডে দাঁড়িয়েছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পোঁছে যায় মুম্বই পুলিশ। বম্ব স্কোয়াডকে ডাকা হয়। বিস্ফোরক-সহ উদ্ধার করা হয় গাড়িটিকে।
এই ঘটনার পর থেকেই তড়িঘড়ি বাড়ানো হয়েছে কারমাইকেল রোডের নিরাপত্তা। আসা ও যাওয়ার প্রত্যেকটি গাড়ি তল্লাশি করে ছাড়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের গামদেবী থানায় এফআইআর করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ির ভিতরে একাধিক নম্বর প্লেট পাওয়া গিয়েছে। একটি চিঠিও নাকি পাওয়া গিয়েছে। চিঠিতে কী লেখা রয়েছে, তদন্তের স্বার্থে তা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। ঘটনার কথা জানিয়ে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, “পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করবে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।”
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাসে দেশের বুকে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৯শে জানুয়ারি বিকেলে কেঁপে ওঠে নয়াদিল্লির ডাঃ এপিজে আবদুল কালাম রোডের ইজরায়েলের দূতাবাস। দূতাবাস থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে জিন্দাল হাউসের সামনে আইইডি বিস্ফোরণটি ঘটে। ঘটনায় কোনও প্রাণহানি না হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীতে। তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। প্রাথমিক তদন্তে বিস্ফোরকটিতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। অত্যন্ত প্রশিক্ষিত চর বা কমান্ডো ট্রেনিং প্রাপ্ত না হলে এমন বিস্ফোরক তৈরি করা সম্ভব নয়। ঘটনায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তদন্ত শুরু করেছে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদও।
পাশাপাশি কিছুদিন আগে আবার এক জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গীর গ্রেফতারির পর উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শোনা গিয়েছে, দিল্লিতে সর্দার প্যাটেল ভবন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেইকি করেছিল ওই সন্ত্রাসবাদী। রেইকির পর বিভিন্ন তথ্য পাকিস্তানের হ্যান্ডলারের কাছে তুলে দিয়েছিল সে। যে জায়গাগুলিতে ওই জঙ্গী রেইকি করেছিল, তার মধ্যে ছিল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের অফিস। এ তথ্য মেলার পরই ডোভালের বাসভবনে আরও কঠোর করা হয়েছে নিরাপত্তায় বলয়।