ছুটি নিয়েছে শীত। ফাল্গুন মাসেই ৩৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছে তাপমাত্রার পারদ। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও বাড়বে তাপমাত্রা, জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এখন ভোরের দিকে হালকা শীতের আমেজও পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা। ফাল্গুনেই এই অবস্থা হলে চৈত্রে কী হবে, তা ভেবেই ঘাম ঝরছে শহরবাসীর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আর বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার বাতাসে সর্বোচ্চ জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৯৬ শতাংশ। গত এক সপ্তাহ আগেও শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রির নীচে।
এদিন হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়লেও সকালের দিকে বজায় থাকবে হালকা শীতের আমেজ। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের জেলা- দুই বর্ধমান, পূ্র্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়াতে বাড়বে তাপমাত্রা। আবহবিদদের কথায়, তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি অত্যন্ত স্বাভাবিক। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে গড়ে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়বে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতদিন উত্তুরে হিমেল হাওয়ার জন্য তাপমাত্রা কমছিল রাজ্যে। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যে প্রবেশ করছে না উত্তুরে বাতাস। ফলত এই বছরের জন্য বিদায় নিয়েছে শীত।
শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা- কলকাতা , উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলী ও পূর্ব মেদিনীপুরে ভোরের দিকে ছিল ঘনকুয়াশা। নেমেছিল দৃশ্যমানতাও। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়। দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। কিন্তু এদিন পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং সহ তিনটি জেলাতে। অন্যদিকে, তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতের হিমালয় সংলগ্ন এলাকা- জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশে।আইএমডি-র তথ্য অনুযায়ী, ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে তুষার ঝড় হবে। জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট, বালিস্তান এবং মুজফরাবাদে পাঁচ দিন ধরে স্থায়ী থাকবে তুষার ঝড়ের পরিস্থিতি।