জানুয়ারিতে তৃণমূলের ব্রিগেড সভার প্রস্তুতি হিসাবে ১৬ নভেম্বর বৈঠকে বসছে তৃণমূল। একদিকে এই বৈঠকের লক্ষ্য ১৯ শে জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি। অন্যদিকে এই বৈঠকে থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে চায় দল। এখনও পর্যন্ত, এই বৈঠক নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঠিক হয়েছে। দলের সাংসদ, বিধায়ক, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত-এর সব স্তরের জনপ্রতিনিধিদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের নেতারা মনে করছেন, এই সভা থেকেই দলকে নতুন বার্তা দেবেন নেত্রী মমতা।
লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এককাট্টা করছেন মমতা। ব্রিগেডের সভা তারই প্রস্তুতি ভূমি। জানুয়ারিতে ব্রিগেড সভায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্রিগেডের সভার মূল দায়িত্বে আছেন, রাজ্যের সভাপতি সুব্রত বক্সি, পার্থ চ্যাটার্জি, শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক ব্যানার্জি। ইতিমধ্যে ব্রিগেডে সভা করার জন্য সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনুমতিও মিলেছে বলে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি কংগ্রেস-সহ সমস্ত দলের প্রতিনিধিকে এই সভায় আসার আমন্ত্রণ জানাবেন। ইতিমধ্যে অনেকেই সভায় আসার সম্মতি দিয়েছেন। আমন্ত্রণ জানানো হবে সোনিয়া ও রাহুলকেও। অনেক আগে থেকেই কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপিকে সরিয়ে দিতে মমতা ফেডারেল ফ্রন্টের ডাক দেন। তার সঙ্গে অনেকেই সহমত হয়েছেন। এবার কেন্দ্র থেকে বিজেপি অপসারণের সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নেতাজি ইনডোরে কর্মিসভার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোচবিহারে যাওয়ার কথা। ইতিমধ্যে ব্রিগেডের সভা সফল করতে জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, বিভিন্ন জেলা থেকে ব্রিগেডে ব্যাপক লোক আনতে হবে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা স্লোগান দিয়েছিলেন,’২০১৯ বিজেপি হবে ফিনিশ’। জগদ্ধাত্রী পুজোর পর পুরোপুরি রাস্তায় নেমে পড়ছে তৃণমূল। তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতা জানালেন, ‘ব্রিগেডের প্রচার উপলক্ষে আমরা প্রতিটি ব্লকে সভা করব। সাধারণ মানুষকে বলতে হবে, আপনারাও বিজেপি-র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। ৪২টি আসনের মধ্যে একটি আসনও বিজেপিকে দেবেন না।’