সাত দফা দাবি নিয়ে দেশজুড়ে একদিনব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম, দেশজুড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, দেশের সম্পদ লাগামহীন বিক্রি বন্ধ করা ও স্থায়ী কাজে অস্থায়ী নিযুক্তি, ঠিকা প্রথা, অবাধ ছাঁটাই বন্ধ করা। ধর্মঘটীদের অভিযোগ, মোদী সরকার রেল, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলিকে বেসরকারিকরণ করতে উদ্যত।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বনধ সার্থক করতে বাংলার পথে নেমেছেন ধর্মঘটীরা। এদিন সকালে বিভিন্ন রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি হাওড়ার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, এটিএম, ডাকঘর সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান ধর্মঘটীরা। হাওড়ার শানপুরে মোদীর কুশপুতুল পুড়িয়ে চলে বিক্ষোভ।
সকালেই একদল বাম কর্মী-সমর্থক হাওড়ার রামরাজাতলায় দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্থানীয় এটিএম, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সরকারি সম্পত্তি রেল, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগকে যেভাবে বেসরকারিকরণ করার পথে হাঁটছে তা দেশের পক্ষে চরম ক্ষতিকর। এর জেরে বহু মানুষ কর্মহীন হবেন। তাই আর দেরি না করে এই কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির কর্মচারীদেরও অবিলম্বে প্রতিবাদে সরব হওয়া প্রয়োজন। তাই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ধর্মঘটে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই অবস্থান-বিক্ষোভ।
কলকাতার ধর্মতলা, কোচবিহার, ব্যারাকপুর, সিউড়িতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বাম ও কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনগুলি। ধর্মঘটের সমর্থনে কোথাও কোথাও অবরোধ করা হয়েছে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। মেন লাইনেও আটকানো হয়েছে ট্রেন।