জ্বালানীর দাম আকাশ ছুঁয়েছে। আর টাকার দামে রেকর্ড পতন। সঙ্গে ধস নেমেছে শেয়ার বাজারেও। ভারতীয় অর্থনীতিতে যা দুশ্চিন্তার কারণ। ফলে আর উদাসীন থাকতে পারেনি কেন্দ্র। লিটার প্রতি আড়াই টাকা দাম কমানোর কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পেট্রোপন্য সহ আনুষঙ্গিক জিনিসের দাম বাড়ায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জমছে। সেটা বুঝেই দাম কমানোর কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র। তার ওপর রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের আসন্ন বিধানসভা ভোটে প্রভাব ফেলতেই দাম কমানোর পথে হেঁটেছে কেন্দ্র।
টাকার দাম নেমে দাঁড়িয়েছে ৭৩ টাকা ৭৭ পয়সা। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করেন, ‘টাকা ভেঙে পড়ছে এই কথা ঠিক নয়, ইতিমধ্যেই ভেঙে গেছে’। টাকার দাম এবার সত্যিই সঙ্কটের জায়গায় পৌঁছে গেছে। তাই আর মুখ ঘুরিয়ে থাকতে পারছে না কেন্দ্র। এই দাম যাতে আর না বাড়ে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে আরবিআই। এই অস্থিরতার মধ্যে শেয়ার বাজারেও পতন অব্যাহত। বিভিন্ন তেল সংস্থার শেয়ারের দামও নেমে গেছে। দিনের শেষে সেনসেক্স ৮০৬ পয়েন্ট, নিফটি সূচক ২৬৯ পয়েন্ট পড়েছে। পতনের নিরিখে যা বেশ বড়সড় ঘটনা।
পেট্রোল ও ডিজেলের ক্ষেত্রে আড়াই টাকা দাম কমানোয় সন্তুষ্ট নন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, অন্তত ১০ টাকা দাম কমানো উচিৎ কেন্দ্রের। কারণ ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ১১ টাকা ৭৭ পয়সা এবং ১৩ টাকা ৪৭ পয়সা বাড়িয়েছিল। তারপর একবার ২ টাকা কমায় কেন্দ্র। তাই ইচ্ছা করলেই কেন্দ্র এই টাকা আরও কমাতে পারে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস মুখপাত্র রনদীপ সুরজেওয়ালাও বলেন, দাম খুব সামান্যই কমানো হয়েছে। ২০১৪ সালে যেমন দাম ছিল, সেখানে ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি।