স্বাস্থ্য নিরাপত্তা মানুষের জীবন সুরক্ষার প্রধান ধাপ৷ তাই পরিবারপিছু সরকারি বিমার অঙ্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এবার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় থাকা পরিবারগুলির বার্ষিক স্বাস্থ্যবীমা দেড় লক্ষ টাকা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করলো রাজ্য৷ বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে রাজ্যের অর্থ দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। গতকাল থেকেই প্রকল্পের আওতাভুক্ত সব পরিবার এই সুবিধা পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বছর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপভোক্তাদের দেওয়া হয় বিনামূল্যে সবরকম চিকিৎসার সুবিধা। এমনকি, ক্যান্সার আক্রান্ত হলেও ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা মেলে রাজ্য সরকারের তরফে। শুধু সরকারি কর্মচারীরাই নয়, একাধিক অসংগঠিত কর্মচারীরাও রয়েছেন এই প্রকল্পের আওতায়। ফলে, রাজ্যে সরকারি কর্মীদের পাশাপাশি অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরাও এই সুবিধা পাবেন।
স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা দপ্তর সূত্রে খবর, এখন ৫০ লাখেরও বেশি পরিবার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। প্রায় ৩ কোটি মানুষ এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায়৷ এতদিন হাসপাতালে ভর্তি হলে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা নিখরচায় পাওয়া যেত। ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির ক্ষেত্রে তা ৫ লাখ টাকা ছিল। এবার থেকে সব ক্ষেত্রেই তা বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হল। সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও রাজ্যের প্রথম সারির ৬০০টি বেসরকারি হাসপাতালেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এখন ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে অসংগঠিত শ্রমিক, সিভিক ভলান্টিয়ার, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক, কেবল অপারেটররা আওতাভুক্ত।
গতকালের সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে আর্থিক সুবিধা আরও অনেকটা বৃদ্ধি করা হল। তবে, উপভোক্তাদের এর জন্য স্বাস্থ্যবিমা বাবদ কোনও কিস্তি দিতে হবে না। ইন্টারনেটে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ ওয়েবসাইটে নাম নথিভুক্ত করা যেতে পারে। এছাড়াও অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। ‘স্বাস্থ্যসাথী’–তে গরিব মানুষের মধ্যে আরও উৎসাহ বাড়াতেই এই উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।