একই সঙ্গে পুরসভার কাউন্সিলার ও বিধায়কের সাম্মানিক ভাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই অশোকের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিচ্ছে তৃণমূল।
শিলিগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলার ও দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য কৃষ্ণ পাল বলেন, ‘একজন ব্যক্তি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে একই সঙ্গে দু’টি পদ থেকে সাম্মানিক ভাতা নিতে পারেন না। কিন্তু শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য কাউন্সিলার ও বিধায়ক হিসেবে দু’টি পদেরই সাম্মানিক ভাতা নিচ্ছেন। এটা আইনবিরুদ্ধ। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে আমরা বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দেব’। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বিরোধীদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অশোকবাবু। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূলের নেতা-কাউন্সিলাররা আইনটা ঠিক মতো জানেন না। প্রাক্তন হয়ে গেলে কাউন্সিলার ও বিধায়ক হিসেবে এক সঙ্গে দু’টি সুবিধা নেওয়া যায় না। অর্থাৎ প্রাক্তন কাউন্সিলার হিসেবে প্রাপ্য চিকিৎসা ভাতা ও প্রাক্তন বিধায়ক হিসেবে প্রাপ্য পেনশন একই সঙ্গে আমি নিতে পারি না। আমি এখনও প্রাক্তন হইনি’।
শিলিগুড়ির জেলা তৃণমূল দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন কৃষ্ণ। সেখানেই শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, ‘সম্প্রতি শিলিগুড়ি পুরসভা থেকে মেয়রের কাউন্সিলার অ্যাকাউন্টে সাম্মানিক ভাতার টাকা জমা পড়েছে। আমাদের কাছে খবর রয়েছে অশোকবাবু বিধায়ক হিসেবে সাম্মানিক ভাতাও নেন। তাই শিলিগুড়ি পুরসভার সচিবের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছি সম্প্রতি পুরসভা থেকে কাউন্সিলরদের কী কী খাতে টাকা দেওয়া হয়েছে। সচিবের জবাব পেলেই আমরা বিধানসভার স্পিকারকে সেই প্রমাণ দিয়ে অশোকবাবুর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানাব’।