লকডাউন খুব শিগগির উঠছে না। মুখ্যমন্ত্রী অন্ততপক্ষে আগামী ২১ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি রাখারই পক্ষপাতী। সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও যে লকডাউন জারি রাখার পক্ষে সেটাও এদিনের বৈঠক থেকে জানান মমতা। একই সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় নতুন ক্যাবিনেট কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে সবরকম দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও মমতা এখনই এই প্রস্তাবে রাজি নন। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্র একবার বলছে কড়াভাবে লকডাউন মানতে হবে। আর একবার কখনও বলছে সব দোকান খুলে দিতে হবে। দোকান খুলে দিলে রাস্তায় ভিড় বাড়বে লকডাউন ব্যর্থ হবে।’ রাজ্য সরকার ২১ মে পর্যন্ত লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী বলে জানান তিনি। এই সময় পর্যন্ত সকলকে সাবধান থাকার পরামর্শও দেন। লকডাউনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মমতা বলেন, ‘আমরা আজকাল অপেক্ষা করবো পরশু সিদ্ধান্ত জানাবো। গ্রামে কিভাবে কাজ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
করোনা মোকাবিলায় ক্যাবিনেট কমিটি গঠনের কথাও এদিন জানান মমতা। চারজন মন্ত্রী মিলে এই কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। থাকছেন পার্থ চ্যাটার্জি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও থাকছেন স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য সচিব। এই কমিটি রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় কাজ করবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই রেড গ্রিন অরেঞ্জ জনের তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে জানান মমতা। সাফ জানিয়ে দেন, রেড জোনে বেশি কড়াকরি হবে। রেড জোন থেকে অরেঞ্জ জোনে গেলে ধাপে ধাপে ছাড় দেওয়া হবে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে এতদিন অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের হোম ডেলিভারি ছিল। এবার অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্য হোম ডেলিভারি হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে ২১ দিন সংক্রমণ হয়নি এমন এলাকাতেই ছাড় দেওয়া হবে।