কথায় আছে, “ওস্তাদের মার শেষ রাতে।” শনিবারের বার্বাডোজ সাক্ষী রইল তারই। পুরো টুর্নামেন্টে নিষ্প্রভ থাকলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জ্বলে উঠলেন বিরাট কোহলি। খেললেন ৫৯ বলে ৭৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেতাব জিতল ভারত। এরপরই কুড়ি ওভারের ফরম্যাট থেকে অবসর নিলেন বিরাট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে নিজের মুখেই একথা ঘোষণা করে দিলেন তিনি। সঞ্চালক হর্ষ ভোগলের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, বিশ্বকাপ ফাইনালই তাঁর শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল। এবার পরের প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দিতে চান তিনি। শনিবারের ম্যাচে ধৈর্য রেখে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট। শেষ পর্যন্ত ওই ইনিংস ভারতকে বড় স্কোরে দাঁড় করিয়ে দেয়। “এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। ঠিক যেটা অর্জন করতে চেয়েছিলাম সেটাই করেছি। মাঝে মাঝে এটা মনে হয় যে আপনি হয়তো রান পাচ্ছেন না। তার পরেই একটা বড় রান চলে আসে। আসলে আমার কাছে ব্যাপারটা ছিল, হয় এখন, না হলে কখনও নয়”, ম্যাচ শেষে জানান তিনি।
পাশাপাশি, বিরাট বলেন, “আমরা বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। জোর করে কোনও পরিস্থিতি তৈরি করার থেকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া উচিত। সবাই জানত এর পরে কী হতে চলেছে। এটাই সময় নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার। অসাধারণ সব ক্রিকেটার রয়েছে দলে। ওরাই দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দলকে আরও উঁচুতে তুলবে।” উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১২৫টি ম্যাচ খেলেছেন বিরাট। ৪৮.৬৯ গড়ে ৪১৮৮ রান করেছেন। একটি শতরান করেছেন। সেটি এসেছিল ২০২২ সালে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বিরাটের ৩৮টি অর্ধশতরান রয়েছে। হারারে-তে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ঘটনাচক্রে, বিরাট অবসরের পর আবার জিম্বাবোয়ে সফরে যাবে ভারত। সেই সফরে নির্বাচিত করা হয়েছে তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটারদেরই। ২০০৭ সালে ভারত প্রথম বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল। ১৭ বছর পর আবার জিতল। মাঝের এই সময়টায় কী কষ্ট করতে হয়েছে, তা উঠে এসেছে বিরাটের কথায়। “এত বছর ধরে একটা বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমরা অপেক্ষা করেছি। রোহিতের মতো ক্রিকেটারের দিকে তাকিয়ে দেখুন। ৯টা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে। আমার সেখানে ছ’টা। রোহিত এই ট্রফির যোগ্য। এই মুহূর্তে আবেগ ধরে রাখা আমার কাছে কঠিন”, বক্তব্য বিরাটের।