নৈহাটি: অপেক্ষার মাত্র কয়েকদিন। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই কালীপুজো। নৈহাটির বড়মাও(Naihati BoroMa) সেজে উঠবে পুজোর দিনে। বড়মা-কে দর্শনের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় পুজোর দিনে। কালীপুজো ও তার পরের দিনগুলোতে ওই এলাকার নিরাপত্তা যাতে ঠিক থাকে, ভক্ত-দর্শনার্থীদের যাতে সমস্যা না হয়, সেসব ঠিক রাখাই প্রশাসনের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রতিবারই নির্ঘণ্ট মেনে উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির বড়মার(Naihati BoroMa) পুজো হয়ে থাকে। এবারও জানা গিয়েছে, কালীপুজোয় ঠিক রাত ১২টায় বড়মার পুজো শুরু হবে। তবে পুজোর প্রস্তুতি আগে থেকেই চলবে। রাত আড়াইটের সময় হবে অঞ্জলী। উপস্থিত ভক্তরা চাইলে সেসময় অঞ্জলী দিতে পারবেন।
পুজো উপলক্ষ্যে বিশাল ভোগের আয়োজন করা হয়। প্রচুর মানুষ বড়মার ভোগ পাওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই ভোগের জন্য দু’টি ও সন্দেশ-প্রসাদ দেওয়ার জন্য দু’টি কাউন্টার থাকছে। পুজো গ্রহণের জন্য ১৭ তারিখ থেকে তিনটি কাউন্টার খোলা থাকবে। ২০ তারিখ কালীপুজোর দিন চারটে কাউন্টার খোলা থাকবে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বড় কালীপুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, “এবার তিনশোর বেশি স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন মণ্ডপ- সহ এলাকায়। ৮০টির বেশি সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চলবে। এছাড়াও গঙ্গার ঘাট, মন্দির ও নৈহাটি স্টেশন চত্বরে একটি করে এলইডি থাকবে।” সোমবার নৈহাটি রেল স্টেশন-সহ সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করলেন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা। সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য পুলিশ কর্তা ও নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়।
মুরলীধর শর্মা বলেন, “স্টেশন থেকে ‘ওয়ানওয়ে সার্কুলেশনের’ মাধ্যমে ভিড় নিয়ন্ত্রণ হবে। ওই দিনগুলিতে সাবওয়ে দিয়ে রেলযাত্রীরা বেরোবেন। ট্রেন ধরার জন্য স্টেশনের দক্ষিণদিকের ফুটব্রিজ ব্যবহার করতে হবে। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে নৈহাটি লোকাল ছাড়বে না।” তিনি আরও বলেন, “অতিরিক্ত লোকাল ট্রেন চালানোরও আবেদন করা হয়েছে। পুজোর ক’দিন রেল, ডিএমজি, ফায়ার, ইলেকট্রিক, পিডব্লিউডি-সহ অন্যান্য দপ্তর নিয়ে জয়েন্ট কন্ট্রোল রুম থাকবে, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”




