কলকাতা : বিজেপিশাসিত ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। অভিযোগ আঙুল উঠেছে গেরুয়াশিবিরের দিকে। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে পৌঁছেছে তৃণমূলের পাঁচসদস্যের প্রতিনিধি দল। এমতাবস্থায়, প্রয়োজনে গান্ধীবাদ ছেড়ে সুভাষবাদের পথে হাঁটার কথা জানাল ঘাসফুল শিবির।(AITC )সাফ জানাল, “ত্রিপুরার ঘটনা রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাস। আগেরবার তৃণমূল নেতৃত্বকে খুন করার প্ল্যান করেছিল। আমরা নজর রাখছি। যদি এবারও কিছু হয় তাহলে গান্ধীবাদ ছেড়ে সুভাষবাদ ধরতে হবে।”
বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা ও তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। সেখানেই হামলার ঘটনায় বিজেপির সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে বলেন, “ত্রিপুরার অসহিষ্ণু সরকার সেখানে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। পুলিশের উপস্থিতিতে ভাঙচুর করা হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস। ফ্লপ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এর কেন্দ্র। পুলিশ বসে সবটা দেখছে এই গণতন্ত্রের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব উস্কানি দিয়েছে। এটা পুরোপুরি স্টেট স্পনসরড পলিটিক্যাল টেররিজম। আর পুলিশ দর্শক।”
পাশাপাশি তাঁদের কথায়, “এরাজ্যের বুকে বিজেপির পার্টি অফিস আছে, কোনও আক্রমণ হয় না। কেও আক্রান্ত হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে যান।(AITC )পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব পেয়েছেন তাই স্কোর কার্ড বাড়ানোর বিপ্লব দেব প্ল্যান করে এই আক্রমণ করেছে। আগেরবার তৃণমূল নেতাদের খুন করার প্ল্যান করেছিল। এবারও কিছু হলে গান্ধীবাদ ছেড়ে সুভাষবাদ ধরতে হবে।” এদিকে ত্রিপুরা পৌঁছেই সমস্যার মুখে পড়েন কুণাল ঘোষরা। জানা যাচ্ছে, তাঁদের জন্য চারটি গাড়ি থাকার কথা ছিল। কিন্তু ৩টি গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং একটি গাড়িতে একবারে সকলকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা কার্যত অসম্ভব। সেই কারণে ব্যাগ গাড়িতে পাঠিয়ে হেঁটে যাবেন বলেই জানিয়েছেন কুণাল।




