প্রতিবেদন : মোদী-জমানায় বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে নারীসুরক্ষা(Women’s Safety) শব্দটি যে ক্রমেই ‘সোনার পাথরবাটি’ হয়ে উঠছে, তা হাতেনাতে প্রমাণ হয়ে গেল আরও একবার। মুখে বড় বড় বুলি আউড়ে চলেছেন মোদী, অথচ নারীদের নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ বিজেপির সরকার। ১৫ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল যার বিরুদ্ধে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়া সেই যুবকের বাড়িতেই নির্যাতিতাকে পাঠিয়ে দিল স্থানীয় শিশুকল্যাণ কমিটি! আর সুযোগ পেয়ে দ্বিতীয়বার কিশোরীকে ধর্ষণ করল অভিযুক্ত। এমনই ঘটনা ঘটেছে ‘ডবল ইঞ্জিন’ মধ্যপ্রদেশে।
গত ১৬ জানুয়ারি পান্না জেলার ছতরপুর থানা এলাকায় স্কুল থেকে ফেরার পথে কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যান। স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। এর ঠিক এক মাস পর ১৭ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানার গুরুগ্রামে খোঁজ মেলে সেই কিশোরীর। সঙ্গে ছিল অভিযুক্ত যুবক। কিশোরীকে অপহরণ এবং ধর্ষণের অভিযোগে যুবককে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে কিশোরীকে উদ্ধার করে পান্না জেলার শিশুকল্যাণ কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাব পান্নার ওয়ান স্টপ সেন্টারে রাখা হয় তাঁকে।

এরপর নিয়ম ভেঙে শিশুকল্যাণ কমিটি কিশোরীকে অভিযুক্তের বৌদির বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। অভিযুক্তের এই বৌদিই আবার কিশোরীর তুতো দিদি। এদিকে জেল থেকে ছাড়া পান অভিযুক্ত। ফিরে এসেই বৌদির বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় তোলপাড়। শুরু হয় তদন্ত।(Women’s Safety)
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কিশোরীর পরিবার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলে তিনি শিশুকল্যাণ কমিটিকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা নির্দেশ দেন। যদিও এরপর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। গত এপ্রিল মাসে কিশোরীকে নতুন করে ওয়ান স্টপ সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে কাউন্সিলিংয়ের সময় ধর্ষণের ঘটনাটি প্রাকশ্যে আসে। এই ঘটনায় নতুন করে অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়াও মামলা দায়ের হয়েছে স্থানীয় শিশুকল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান-সহ দশ জনের বিরুদ্ধে। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে সরকার।




