নয়াদিল্লি: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির জেরে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। তবে এই শুল্কবানই এখন ভারত চিনের সম্পর্কের উন্নতিসাধনের মূল কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শীঘ্রই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সংগে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই আবহে জানা যাচ্ছে, মার্কিন শুল্কনীতি ঘোষণার পরেই চিনা প্রেসিডেন্ট চিঠি লেখেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে।(Draupadi Murmu) আর সেই চিঠির পরেই ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতি সম্ভবপর হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিতে চিনের প্রেসিডেন্ট লেখেন, চিনের পক্ষে ক্ষতিকারক এমন চুক্তিতে যদি ভারত-আমেরিকা রাজি হয়, তাহলে সেই বিষয়টি বেজিংয়ের পক্ষে খুবই উদ্বেগের। আরও জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতিকে(Draupadi Murmu) পাঠানো চিঠির বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় মোদির কাছে। এই চিঠির সময় থেকেই ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির কৃতিত্ব দাবি করতে শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করেন চিনা প্রেসিডেন্ট।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জল মাপতেই এই চিঠি লিখেছিলেন জিনপিং। কারণ সেসময়ে বাণিজ্য চুক্তি করতে চেয়ে আমেরিকার সঙ্গে জোরকদমে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে চুক্তি, এমনটা দাবি করেন ট্রাম্প নিজেও। তবে চিঠির পর থেকেই ধীরে ধীরে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। বিমান পরিষেবা শুরু, রপ্তানিতে ছাড়পত্রের মতো বিষয়গুলি নিয়ে অবস্থান কিছুটা বদলায় দুই দেশ। ভারতের সঙ্গে চলা দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে আমেরিকাকে টক্কর দিতে নয়াদিল্লিকে পাশে চায় বেজিং। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেই লক্ষ্যেই আপাতভাবে দুই দেশের কূটনৈতিক বিরোধ দূরে সরিয়ে রাখতে আগ্রহী চিন।




