প্রতিবেদন : আর মাত্র বছরখানেক। তারপরই বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যে। ছাব্বিশের ভোটকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এবার উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ব্লক স্তরের সংগঠনে বড়সড় রদবদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে তৃণমূল, যুব, মহিলা ও শ্রমিক সংগঠনে ব্লক ও টাউন প্রেসিডেন্ট পদে পরিবর্তন আনা হল। দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই এই রদবদল হয়েছে। উত্তরবঙ্গের চা বলয়কে(Tea Belt)ঘিরে বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠন আরও মজবুত করতে এই পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
বিগত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে বিজেপি অনেকগুলি আসন পেয়েছিল। গত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণবঙ্গে ধাক্কা খেলেও বিজেপি উত্তরে একাধিক আসন ধরে রেখেছিল। যদিও উত্তরে তৃণমূলের ভোটও বেড়েছে। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রেও বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট বিধানসভা আসনটি উপনির্বাচনে বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে ঘাসফুল শিবির।

একদা আলিপুরদুয়ারে বিজেপির সাংসদ ছিলেন জন বার্লা। সেই জন বার্লা এখন তৃণমূলের নেতা। তাঁর মাধ্যমে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এলাকায় শক্তি বাড়ানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ থেকে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’-সহ রাজ্যের প্রকল্পগুলিকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর ঘাসফুল শিবির। এসআইআর থেকে বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলার বাংলার শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের কথা মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বের তরফে।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম, কালচিনি, ফালাকাটা-সহ আটটি জায়গায়(Tea Belt )ব্লক ও টাউন প্রেসিডেন্ট বদল হয়েছে। কুমারগ্রামে তৃণমূলের প্রেসিডেন্ট হয়েছে সুদয় নর্জিনারি। আলিপুরদুয়ার ২- এর প্রেসিডেন্ট হয়েছেন জ্যোতি দাস অধিকারী। কালচিনিতে প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে পেমা লামা। জলপাইগুড়ির ১৬টি ব্লক ও টাউনে বদল করা হল নেতৃত্ব। বানারহাটে প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পেলেন সন্দীপ ছেত্রী। ধূপগুড়ি টাউনে কনভেনর করা হয়েছে মহুয়া গোপকে। কোচবিহারের ২২টি ব্লকে সাংগঠনিক রদবদল করল তৃণমূল। মেখলিগঞ্জে দলের প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে কেশবচন্দ্র বর্মণকে। মানস বসুনিয়াকে হলদিবাড়িতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।