নয়াদিল্লি : ইতিমধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষকে পর্যুদস্ত করতে নতুন পাঁচটি বিশেষ প্রশিক্ষণে পারদর্শী ব্যাটালিয়ন(Commando Battalion )গড়েছে ভারতীয় সেনা। এবার দেশের প্রতিরক্ষায় ‘ভৈরব’ কমান্ডো বাহিনীকে কাজে লাগাতে তৎপর হল তারা। এক সর্বভারতীয় প্রতিবেদন সূত্রে খবর, আপাতত পাঁচটি ভৈরব কমান্ডো ব্যাটালিয়ন তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটিকে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকি দুই ভৈরব কমান্ডো ব্যাটালিয়নের একটিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল, এবং অন্যটিকে পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে সূত্র।
বছর পাঁচেক আগে গালওয়ান লড়াইয়ের সময় প্রশ্ন উঠেছিল, লাদাখ নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা বাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তে পাক সেনা এক সঙ্গে হামলা চালালে কী ভাবে ভারতীয় সেনা তার প্রত্যাঘাত করবে? তারই জবাব খুঁজতে উন্নত অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি সেনার পরিকাঠামো বদলের পরিকল্পনাও শুরু হয়েছিল। তারই ফলস্বরূপ এবার ময়দানে নামছে ভৈরব কমান্ডো ব্যাটালিয়ন।(Commando Battalion )

গত ২৬ জুলাই কার্গিল যুদ্ধের বিজয় দিবসে সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানিয়েছিলেন, জাতীয় নিরাপত্তায় বড় পরিবর্তন হতে চলেছে। ২০২৩ থেকে ৩২ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর রূপান্তরের দশক হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। পরিকল্পনা মাফিক পদাতিক, গোলন্দাজ ও ট্যাঙ্ক রেজিমেন্টকে একত্র করে রুদ্র বিগ্রেড ও ভৈরব ব্যাটালিয়ন কমান্ডো ব্যাটালিয়ন নির্মাণ হবে বলে জানিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। তাছাড়াও ‘দিব্যাস্ত্র ব্যাটারি’ এবং শক্তিবান ইউনিট তৈরির কথাও বলেছিলেন তিনি।
দ্বিবেদীর কথায়, “এই পরিবর্তনগুলির লক্ষ্য হল ড্রোন, গোলাবারুদ, দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষমতার মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর প্রত্যাঘাতের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।” পরিকল্পনায় সীমান্তে মোতায়েন প্রতি পদাতিক ব্যাটালিয়নের সঙ্গে ড্রোন ও গোলন্দাজ বাহিনী রাখার কথাও জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।