প্রতিবেদন : আরও একবার স্বাস্থ্যব্যবস্থার দুর্বিষহ চিত্র ফুটে উঠল বিজেপিশাসিত ওড়িশায়। ফের ঘটল প্রসূতি ও শিশুমৃত্যুর ঘটনা। চিকিৎসা ডিগ্রি না থাকার পরেও প্রসব করাতে ওটিতে ছিলেন সেই ডাক্তার!(Fake Doctor )এরপরেই এক মহিলা এবং তাঁর সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যু হল ওড়িশার গঞ্জাম জেলার এক নার্সিংহোমে। ঘটনাকে ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
ইতিমধ্যেই নার্সিংহোমের মালিক গ্রেফতার হয়েছেন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের(Fake Doctor )নাম মঙ্গলু চরণ প্রধান (৩৫) এবং তিনি দেঙ্গাউস্তা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিজের নার্সিংহোমে এক প্রসূতির ডেলিভারি করান। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন দু’জন এএনএম (সহকারী নার্স-মিডওয়াইফ)। কিন্তু জানা গিয়েছে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন না কোনও রেজিস্টার্ড ডাক্তার। আর নিজে ডাক্তার না হয়েও তাঁর এই ঝুঁকিপূর্ণ ডেলিভারিতেই ঘটে গেল গুরুতর বিপদ!
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত ১১ মে কোরাখান্ডির বাসিন্দা রোজি নায়েক প্রসব যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। এই নার্সিংহোমে সমস্ত রকম আধুনিক সুবিধা আছে এবং নিশ্চিন্তে প্রসব করানো যাবে এমনটাই তিনি আশ্বাস দেন পরিবারকে। সেই ভরসাতেই রোজিকে ভর্তি করানো হয়। আনুমানিক ৪ ঘণ্টা যন্ত্রণার পর ডেলিভারি করানো হয় এবং তাঁর পরেই নবজাতক জন্মের পরই মারা যায়। এদিকে অবস্থার অবনতি হলে রোজিকে এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। রোজির স্বামী বাবু নায়েকের অভিযোগ এর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে দিঘাপাহাড়ি থানার পুলিশ।
রবিবার মঙ্গলুকে ও দুই এএনএম, মধুস্মিতা পট্টনায়ক এবং প্রমোদিনি গামাঙ্গো গ্রেফতার হয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চিকিৎসায় গাফিলতি এবং অবৈধভাবে প্রসব করানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। কীভাবে ডিগ্রি ছাড়াই একজন নার্সিংহোম খুলে দিনের পর দিন এভাবে চিকিৎসা করে চলেছেন? উঠছে প্রশ্ন।