দেরাদুন: সারা দেশজুড়ে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষীদের উপর চালানো হচ্ছে অত্যাচার। তা নিয়ে একের পর এক ঘটনা সামনে এসেছে। এবার বাংলা ভাষায় কথা বলার অপরাধে প্রতিবেশীর সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটির জেরে বিজেপিশাসিত উত্তরাখণ্ডে(UttaraKhand )পুলিশের বেধড়ক মারধরের শিকার প্রবাসী বাঙালি অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী ও তাঁর পরিবার। জানা গিয়েছে, পুলিশের নৃশংসতার জেরে বর্তমানে শয্যাশায়ী তাঁর ডাক্তারি পড়ুয়া কন্যা।
Read More: মহিলা ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা বিসিসিআইয়ের
বর্তমানে কর্মসূত্রে কিরণ সিংহ রায় সপরিবারে থাকেন উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে। দেরাদুনের জি-৩, রেসকোর্স এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্ত্রী সন্তোষ সিংহ রায় দেরাদুনেরই বাসিন্দা, পেশায় শিক্ষিকা। পুলিশি অত্যাচারের পর প্রাণের ভয়ে বর্তমানে ফিরে এসেছেন বাংলায় সোদপুরের পৈতৃক বাড়িতে।
মঙ্গলবার সেই বাড়ি থেকে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন কিরণ সিংহ রায়। তিনি জানালেন, গত ১৩ অগস্ট বিদ্যুতের তার টানা নিয়ে প্রতিবেশী ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে বিবাদ বাধে প্রাক্তন অবসরপ্রাপ্ত সীমান্তরক্ষী কর্মীর।

কিরণবাবুর অভিযোগ, এই বিবাদের জেরে স্থানীয় নেহরু কলোনি থানার(UttaraKhand )পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এসে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। স্ত্রীকে বাড়ির ভেতর থেকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মাকে ছাড়াতে থানায় গেলে মেয়েকেও থানার ভেতরে ঢুকিয়ে নৃশংসভাবে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কিরণবাবু বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ির পিছনে থাকে মনজিৎ সিং। দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের সম্পত্তির উপর ওঁর নজর রয়েছে। ও জানে, যেহেতু আমরা বাঙালি, তাই বিবাদ বাধলে পাশে কেউ থাকবে না। মূলত এই কারণেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হামলা চালিয়েছে।’’
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1958108112369689002
তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘শুধু মারধর নয়, আমার স্ত্রীকে জোর করে পেরেক খাইয়ে দিয়েছে। থানার মধ্যে আমার ১৮ বছরের ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়েকে গোপনাঙ্গে লাথি মেরে মেরে জখম করেছে। আমি বাঙালি, আমার মেয়ে মানে বাংলার মেয়ে। সে এখন শয্যাশায়ী। আমরা চাই থানার সকল পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা-সহ মনজিতের শাস্তি হোক। প্রধানমন্ত্রী-সহ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’’
জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে ওই পুলিশকর্মীদের ও অভিযুক্ত প্রতিবেশীর শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে চিঠি দিয়েছেন প্রহৃত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কিরণ সিংহ রায়।