কলকাতা : বাংলাদেশি সন্দেহে দিল্লিতে পুলিশের নির্মম অত্যাচারের কবলে পড়েছেন মালদহের চাঁচলের মহিলা সাজনুর পারভিন। নিগ্রহের শিকার হয়েছে তাঁর শিশুসন্তান ও পরিবারও। এবার হেনস্থার অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হবে, এমনই জানাল তৃণমূল। ফিরে আসা এই পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের সব দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার। বাংলার সাধারণ মানুষ যে পরিষেবা পান, তা এই পরিবারকেও দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার বার্তা দিয়েছেন। তাঁরা ফিরে এলে জব কার্ডের মাধ্যমে কাজ দেওয়ারও কথা বলেছেন।
দিল্লিতে মালদহের চাঁচলের সাজনুর পারভিন ও তাঁর শিশুপুত্রের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। তা সবার প্রথমে সামনে নিয়ে আসেন মমতাই। সেই তথ্য ভুল বলে দিল্লিতে একটি মামলা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে বলে জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

সাজনুর পারভিন মালদহের চাঁচলের বাসিন্দা। স্বামী মোক্তার খান। দীর্ঘদিন ধরেই সপরিবারে থাকতেন দিল্লিতে। মহিলার দাবি, একদিন চারজন তাঁর বাড়িতে যান। নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে আধার কার্ড দেখতে চান। খোঁজ করেন মোক্তারের। আধার কার্ড দেখানো সত্ত্বেও নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা মহিলাকে বাংলাদেশি তকমা দেন। যাতে তাঁরা এলাকা না ছাড়েন, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়।
পরদিন ফের চার জন যায় তাঁর বাড়িতে। সেই সময় দলে ছিলেন ২ মহিলাও। তাঁরাই সাজনুর ও তাঁর সন্তানে এক জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তার উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। “আমাকে বাংলাদেশি বলা হয়। আমি বারবার বলি, আমি মালদহের বাসিন্দা। এরপর ওরা স্বামীকে ডাকতে বলে। শুরু করে বেধড়ক মার”, জানিয়েছেন সাজনু।




