জজপুর : বালেশ্বর কলেজে অধ্যাপকের যৌন নিগ্রহের শিকার হয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক ছাত্রী! এরপর পুরীর এক গ্রামে প্রকাশ্য রাস্তায় এক কিশোরীর গায়ে আগুন দিয়েছিল কিছু দুষ্কৃতী! এবার ফের বিজেপিশাসিত ওড়িশায় ফুটে উঠল নারীসুরক্ষার দুর্বিষহ চিত্র। কোচ ও তাঁর সহযোগীদের যৌন লালসার শিকার হলেন এক উঠতি নাবালিকা হকি খেলোয়াড়। গত ৩ জুন ঘটনাটি ঘটে ওড়িশার জজপুর জেলায়। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরই ঘটনাটি সামনে আসে।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই কোচ-সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন স্থানীয় একটি স্টেডিয়ামে প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ১৫ বছরের ওই কিশোরী। সেই সময় তাকে অপহরণ করা হয়। সেখান থেকে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে চারজন মিলে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

গত রবিবার রাতে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরী। তারপরেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চারজনকে আটক করা হয়েছে। কিশোরীর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিরাকিররা। এদিকে ইতিমধ্যে জেলার পকসো আদালতে মহিলা বিচারকে উপস্থিতিতে কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
কিছুদিন আগেই বালেশ্বর কলেজে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে গায়ে আগুন দেন এক ছাত্রী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এরইমধ্যে এক নাবালিকাকে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আরও একটি ধর্ষণের ঘটনা সামনে এল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা।




