মুম্বই: এইচআইভি আক্রান্ত কিশোরীর লাগাতার ধর্ষণ। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রের হোমে। অভিযোগ উঠেছে ওই হোমেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বিগত ২ বছরে চারবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত। এমনকি নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পরে তাকে গর্ভপাতের জন্যও বাধ্য করা হয়। তবে সব জেনেও কোনও পদক্ষেপ নেননি কর্তৃপক্ষ। গ্রেফতার করা হয়েছে হোমের মালিক, সুপার সহ চারজনকে।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এইচআইভি আক্রান্ত শিশুদের মহারাষ্ট্রের ওই হোমটিতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। ১৬ বছর বয়সি ওই কিশোরীও ছিল সেখানে। অভিযোগ উঠেছে, ওই হোমেরই এক কর্মী ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত চারবার ধর্ষণ করে কিশোরীকে। হোমের অভিযোগ গ্রহণ বাক্সে কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে সে একটি চিঠি লিখে গোটা বিষয়টি জানায়। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।

ওই কিশোরী তাঁর বয়ানে বলেছে, বারবার ধর্ষণের ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিশোরীকে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যান হোম কর্তৃপক্ষ। সেখানেই জোর করে তার গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি লাতুরের একটি থানায় ওই কিশোরী অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। অভিযুক্ত কর্মী ছাড়াও, হোমের প্রতিষ্ঠাতা, সেটির সুপার এবং অন্য এক কর্মীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন গর্ভপাত করানো সেই চিকিৎসকও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে হোমের প্রতিষ্ঠাতা, সুপার এবং দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।




