নয়াদিল্লি : কিশতয়াড়া জেলায় ‘কোয়ার বাঁধ’ নির্মাণ করা হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে। আর এই প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের ৩১১৯ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সিন্ধু চুক্তিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার চন্দ্রভাগা নদীর উপর বাঁধ দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করল কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চিন্তায় পাকিস্তান।
এই বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে গ্রিনফিল্ড স্টোরেজ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্প তৈরিতে ভারতের খরচ পড়বে ৪৫২৬ কোটি টাকা। বাঁধটি নির্মিত হলে সেখান থেকে তৈরি হবে ৫৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর ফলে নদীর স্বাভাবিক জলপ্রবাহ ব্যহত হবে। সিন্ধু চুক্তি স্থগিতাদেশের জেরে এমনিতেই জল সংকটে পাকিস্তান। তার উপর এই বাঁধ নির্মাণ হলে আরও বিপাকে পড়বে তারা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে চন্দ্রভাগা নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কাজ শেষ করেছিল কেন্দ্র। এর পাশাপাশি ৬০৯ মিটার দীর্ঘ টানেল খননের কাজও শুরু হয়েছে। এর সঙ্গেই শুরু হয়েছে পুরোদমে বাঁধ নির্মাণের কাজ। সেই লক্ষ্যেই বিশ্বব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৩১১৯ কোটির ঋণ চাইল কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, এমন একটা সময়ে এই প্রকল্পের কাজ গতি পেয়েছে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। চন্দ্রভাগা সিন্ধু নদের অন্যতম প্রধান একটি উপনদী। পাকিস্তানের একটি বড় অংশ এর জলে পরিপুষ্ট। ভারত বাঁধ নির্মাণ করলে পাকিস্তান এই নদীর জল পাবে না। যা পাকিস্তানের কৃষিক্ষেত্রকে প্রভাবিত করেছে। যদিও সিন্ধু জলচুক্তির উপর ভারত স্থগিতাদেশ দিলেও এখনও পর্যন্ত চুক্তি লঙ্ঘন করেনি। তবে পাকিস্তানের লাগাতার আপত্তির মাঝে ভারতের এই পদক্ষেপ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।