কলকাতা: সম্প্রতি সমস্ত অন্তর্দ্বন্দ্ব কাটিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। এই সিদ্ধান্ত যে দলের অন্দরে খুব একটা সুখকর পরিস্থিতি তৈরি করবে না তা আগেভাগেই টের পাচ্ছিল রাজনৈতিক মহল। তবে কি বঙ্গ বিজেপিতে গোষ্ঠীকোন্দল নতুন রূপ নিতে চলেছে? এই আলোচনাই এখন তুঙ্গে উঠেছে। সুকান্ত ও শুভেন্দুর এতদিনের ছড়ানো শিকড় কী তবে উপড়ে ফেলতে চলেছেন শমীক! তা নিয়েই চলছে জল্পনা।
জানা যাচ্ছে, শমীকের সভাপতি হওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ বঙ্গ বিজেপির দুই শক্তিশালী গোষ্ঠী সুকান্ত লবি ও শুভেন্দু লবি। সুকান্ত লবির আশঙ্কা, শমীকের জমানায় তাদের প্রভাব কমবে ও গত তিন বছরে তাঁরা যে পরিমাণ শিকড় তৈরি করেছেন তা এখন বিপদের মুখে! পাশাপাশি কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বেজায় চটে গিয়েছেন শুভেন্দুও। বৃহস্পতিবার সায়েন্স সিটির ভরা প্রেক্ষাগৃহে সরাসরি শুভেন্দুর চড়া হিন্দুত্বের উল্টো কথা বলে সংখ্যালঘুদের সমর্থন চেয়ে শমীক বক্তব্য রাখেন। আর এই জলঘোলার মধ্যেই শমীক ও দিলীপের মধ্যে নতুন এক আঁতাত তৈরি হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে।
দিলীপ ঘোষ আগেই দাবি করেছিলেন যে, সভাপতি পদের মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার আগে শমীক ভট্টাচার্য তাঁকে ফোন করেছিলেন। পাশাপাশি শীঘ্রই রাজ্য সভাপতি হওয়ার জন্য শমীককে শুভেচ্ছা জানাতে তিনি যাবেন বলেও শুক্রবার জানিয়েছেন দিলীপ। অতএব বোঝাই যাচ্ছে, সুকান্ত-শুভেন্দুর এবার সময় খুব একটা ভালো নয়। দিলীপ-শমিকের আঁতাত এই দুই লবির অস্তিত্ব সংকট তৈরি করতে চলেছে বলেও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। নয়া রাজ্য সভাপতির নির্বাচনের পরে বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল কমার জায়গায় আরও তীব্র হতে চলেছে। আসন্ন ছাবিশের নির্বাচনের ফলাফলে এই অন্তর্দ্বন্দ্ব যে বিজেপির বিপদ ডাকতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।