প্রতিবেদন : দফায় দফায় চলছে ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষ।(Iran Israel Conflict)এবার ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের সদর দফতরে মিসাইল হামলা চালাল তেহরান। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে এমনটাই। পাশাপাশি ইরানের মাটিতে মোসাদের গুপ্তচরদের পাকড়াও করতে জোর কদমে শুরু হয়েছে অভিযান। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ইরানের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮ জন ইজরায়েলি গুপ্তচরকে।
Read More: কৌলিন্য হারাতে চলেছে টেস্ট ক্রিকেট! ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমানোর পরিকল্পনা আইসিসির
ইতিমধ্যেই তেহরানের তরফে ইজরায়েলে হামলার একাধিক ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ইজরায়েলে মোসাদের সদর দফতরে আগুন লেগে গিয়েছে। লেলিহান শিখায় জ্বলছে সেই ভবন। এই হামলা নিয়ে ইজরায়েলের তরফে কোনও মন্তব্য না করা হলেও, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফে একাধিক ভিডিও ফুটেজ সামনে এসেছে। যদিও ইজরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইজরায়েলের সেনাদফতরের কাছে একটি পার্কিং এলাকায় আছড়ে পড়েছিল। তাতে কোনও ক্ষতি হয়নি সেনা দফতরের।
গত ১৩ জুন, শুক্রবার ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয় ইজরায়েলের তরফে।(Iran Israel Conflict)এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তাদের একযোগে হত্যা করা হয়। এই তালিকায় ছিলেন, ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডার-সহ একাধিক শীর্ষ সেনা আধিকারিক। পাশাপাশি ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে নিখুঁত পরিকল্পনায় হত্যা করে ইজরায়েল। এই হামলার পালটা হিসেবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনেই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের শুরুর ঘোষণা করেন। প্রথম ধাক্কা সামলে নিয়ে পাল্টা ইজরায়েলে ১৫০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও শতাধিক ড্রোন হামলা চালায় ইরান।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1934959662446846155?s=19
জানা গিয়েছে, ইরানের সেই হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তেল আভিভের। গুঁড়িয়ে গিয়েছে মোসাদের সদর দফতর। পাশাপাশি, ১৩ জুন ইরানে হামলার পর ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছিল, মোসাদের নিখুঁত পরিকল্পনায় সফলভাবে হামলা চালাতে সক্ষম হয় তারা। এরপরই সামনে আসে ইরানের সেনাবাহিনীর মধ্যেও লুকিয়ে রয়েছে মোসাদের গুপ্তচর। এই গুপ্তচরদের পাকড়াও করতে জোরকদমে অভিযান শুরু করে দিয়েছে ইরান। সারা দেশজুড়ে চলছে তল্লাশি। সন্দেহভাজন ২৮ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, গ্রেফতার হওয়া সকলেই মোসাদের গুপ্তচর। ইতিমধ্যেই এক সন্দেহভাজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র গুপ্তচরদের খুঁজে বের করতে গঠন করা হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল।