মুম্বই: অ্যাম্বুলেন্স(Ambulance) নয় প্লাস্টিকের ব্যাগে সদ্যোজাতর মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন বাবা। এহেন অমানবিক ঘটনার সাক্ষী রইল মহারাষ্ট্র। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করেও মিলল না অ্যাম্বুলেন্স! বাধ্য হয়ে ২০ টাকার প্লাস্টিকের ব্যাগ কিনে সদ্যোজাতর মৃতদেহ সেখানেই ভরলেন। সেই প্লাস্টিকের ব্যাগ হাতে সরকারি বাসে করে বাড়ির পথে রওনা দিলেন আদিবাসী যুবক। ঘটনা সামনে আসতেই প্রশ্নের মুখে মহারাষ্ট্রের চিকিৎসা ব্যবস্থা।
Read More: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে হরমুজ প্রণালী বন্ধের আশঙ্কা, সংশয়ের মুখে ভারতের জ্বালানির জোগান
জানা যাচ্ছে, সখারামের অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী অভিতার ১১ জুন প্রসব বেদনা ওঠে। সেই সময়ও অ্যান্বুলেন্স(Ambulance) ডাকা হয়। কিন্তু তখনও আসেনি অ্যান্বুলেন্স। এরপরেই একটি গাড়ি করে এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয় অভিতাকে। সেখান থেকে তাঁকে গ্রামীণ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাসিক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর ১২ জুন সেখানেই এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন অভিতা। ১৩ তারিখ তাঁকে জানানো হয়, সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে।
এরপরে মৃতদেহটি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সখারাম জানান, “একাধিকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও কোনও সুরাহা করে দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগ কিনে সরকারি বাসে করে ৯০ কিলোমিটার দূরে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিই।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1934917962416443618
উল্লেখ্য, ২৮ বছর বয়সী আদিবাসী যুবক সখারাম ও তাঁর স্ত্রী ২৬ বছরের অভিতার দুই সন্তান রয়েছে। স্বামী, স্ত্রী দু’জনেই থানে জেলার বদলাপুরের একটি ইটভাটায় দিনমজুরের কাজ করেন। এই ঘটনার পরেই সখারাম অভিযোগ তুলেছেন, সঠিক চিকিৎসার অভাবে তাঁর সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।