বানারহাট: বহুদিন ধরেই খোদ মোদী সরকারের অধীনস্থ একাধিক চা-বাগানে প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চা-শ্রমিকরা। কিছুদিন আগে রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ। জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের অধীনস্থ ‘অ্যান্ড্রু ইউল অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড’-এর(Andrew Yule & Company Limited) চা বিভাগের আর্থিক সংকটের কারণে বানারহাট, কারবালা, নিউ ডুয়ার্স এবং চুনাভাটি টি এস্টেটের শ্রমিকদের মজুরি দিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে সুরাহার আভাস দিতে পারেননি তিনি। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। আর তার ঠিক আগেই উত্তরের চা-বলয়ে ছড়াল উত্তাপ। বিক্ষোভ চলছে বানারহাট চা-বাগানে।
Read More: কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে সাফল্য সেনার, প্রচুর অস্ত্র সহ গ্রেফতার ২ জঙ্গি
এদিন সকাল থেকেই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন কেন্দ্রের অধীনস্থ ‘অ্যান্ড্রু ইউল অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড’ (Andrew Yule & Company Limited)কোম্পানির শ্রমিকরা। বকেয়া মজুরি, বকেয়া বেতন, পিএফ, গ্র্যাচ্যুইটির দাবিতে বানারহাট ব্লকের বানারহাট চা-বাগানের গেটের সামনে সকাল থেকেই ভিড় জমান তাঁরা। চা-শ্রমিকদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ চা-বাগান হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রের বিন্দুমাত্র হুঁশ নেই বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। কাজেই যে তারিখে আলিপুরদুয়ারে সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, সেই দিনই বিক্ষোভ দেখিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। “দু থেকে তিন বছর ধরে সমস্যা। আমরা মজুরি পাই না। গ্র্যাচুয়িটি পাই না। চার-পাঁচটা বকেয়া বেতন থাকে”, জানিয়েছেন জনৈক চা-শ্রমিক।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1928004269568889294
উল্লেখ্য, ধারাবাহিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের অবহেলা এবং আর্থিক অব্যবস্থাপনার কারণে ভুগছেন চা-শ্রমিকরা। এ নিয়ে একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কিছুই। চা-বলয়ের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্যই। চা-শ্রমিকদের জন্য ‘চা সুন্দরী’ সহ বেশ কিছু জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।