কলকাতা : শিল্পোন্নয়নের(Industrial Development)পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। রাজ্যের বুকে তৈরি হতে চলেছে আরও পাঁচটি এআই ডেটা সেন্টার। অন্য অনেক রাজ্যকে পিছনে ফেলেছে বাংলা। তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে কলকাতায় ও তার আশেপাশে অন্তত পাঁচখানা ডেটা সেন্টারের সূচনা হয়েছে। এবার নিউটাউন ও তার সংলগ্ন এলাকায় আরও পাঁচটি বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে।
Read More: ধর্মতলার কার্তুজ কাণ্ডে বিহার যোগ! ধৃতকে জেরায় তদন্তে এল নয়া মোড়
এর আগে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে ওয়েবেল আইটি পার্কে এমন একটি কেন্দ্রের সূচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। আর কলকাতায় বেশিরভাগ ডেটা সেন্টার তৈরি হতে চলেছে নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে।(Industrial Development)বর্তমানে বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাবে রিলায়েন্স জিও’র মেগা ক্যাম্পাস তৈরির কাজ চলছে। এই ৪০ একর ক্যাম্পাসে বিশ্বমানের এআই দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ডেটা সেন্টার তৈরি হচ্ছে। মাইক্রোসফট ও রিলায়েন্স কর্পোরেট আইটি পার্কের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে মেগা ক্যাম্পাস। রিলায়েন্স চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি আগেই ঘোষণা করেছেন যে এই ডেটা সেন্টারটি আগামী ২০২৬ সালেই চালু হয়ে যাবে। সেই কাজটিও এগোচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে।
পাশাপাশি, নিউটাউনের ২৫০ একরের সিলিকন ভ্যালি হাবে এয়ারটেল নক্ষত্র ডাটা সেন্টার, এলটিআই মাইন্ডট্রির কাজ চলছে। এসটিটি অ্যান্ড এনটিটি ডাটা সেন্টারের উদ্বোধন হয়েছে। আদানি এন্টারপ্রাইজেসের ডেটা সেন্টারটিও হবে পাঁচ লক্ষ ২৫ হাজার বর্গফুট জায়গায়। নিউটাউনে এটির কাজও অন্তিম পর্যায়ে। রাজ্য ডেটা সেন্টার বাদে উল্টোডাঙায় এসটিটি কলকাতা ডিসি-১ উল্লেখযোগ্য। এসটিটি আসলে সিঙ্গাপুরের এসটি টেলিমিডিয়া, দ্বিতীয় কেন্দ্র তৈরির কাজ হচ্ছে নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া-২তে। এনটিটি বা নিপ্পন টেলিগ্রাফ অ্যান্ড টেলিফোন নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া-২ তে চালু হয়েছে। ৬ লক্ষ বর্গফুট জুড়ে রয়েছে এই জায়গা।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1927354315854790966?s=19
অন্যদিকে হুগলির উত্তরপাড়ায় হিরানন্দানি গ্রুপ, নিউটাউনে ইউনিভার্সাল সাকসেস এন্টারপ্রাইজেস, টেকনো ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও কন্ট্রোলএস-এর সেন্টারগুলিও নির্মিত হবে। সবমিলিয়ে ৩০-৪০ হাজার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলায় তথ্য-প্রযুক্তিতে যে সাফল্য বাড়ছে তার জ্বলন্ত উদাহরণ গেমিং অ্যাপ ডিজাইনে বিখ্যাত ওয়েবস্কিটার্স। ওয়েবস্কিটার্স টেকনোলজি সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা আট বছর আগে যখন কাজ শুরু করেছিল, তখন কর্মী সংখ্যা ৩০-এর কিছু বেশি। এখন সেখানে কর্মী রয়েছেন ৭০০ জন। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় অনেকগুলো ডেটা জমা হওয়ার যে প্রক্রিয়া, তাকেই ডেটা সেন্টার বলে। বস্তুত এটি একটি নির্দিষ্ট বিল্ডিং, যেখানে সার্ভার ও ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে ডাটা সংরক্ষণ ও পরিচালনা করা হয়। একাধিক সার্ভার নেটওয়ার্ক দ্বারা সংযুক্ত থাকে। বিল্ডিং তৈরিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা যাতে কম হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। বিদ্যুতের উপরও এই ডেটা সেন্টার নির্ভরশীল।
অর্থাৎ, একথা স্পষ্ট যে, রাজ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা গড়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে ডেটা সেন্টার। বাঙালিদের মেধাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেঙ্গালুরু বা হায়দরাবাদ বা গুরুগ্রামে বাঙালি তরুণ-তরুণীরা যত বেতনে কাজ করছেন, তাঁদের কিছুটা কম বেতনেই কলকাতায় বা শিলিগুড়ি বা হলদিয়ায় কাজ করানো সম্ভব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলার পর থেকে এবিষয়ে উৎসাহ আরও বাড়ছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।