কলকাতা: ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম(Ghost Voter) নিয়ে তোরজোড় চরমে উঠেছে। এয়হেন পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রীয়ের ভোটার তালিকায় নাম নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। অভিযোগ, দুই এলাকার ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। এবার স্ত্রী কোয়েল মজুমদারের ভোটার তালিকায় নাম নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
Read More: টোকিওতে গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদান, পাক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রচার করতে জাপানে পা রাখলেন অভিষেকরা
বালুরঘাট ও জলপাইগুড়ি দুই জায়গার ভোটার তালিকাতেই নাম রয়েছে সুকান্ত পত্নী কোয়েলের।(Ghost Voter) এই অভিযোগ সামনে আসতেই বিতর্ক তুঙ্গে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্তের নির্দেশ দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই মতো জলপাইগুড়ি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসককে এ বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট পাঠাতে বলেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বিয়ের আগে কোয়েল চৌধুরি নামে ভোটার কার্ড ছিল কোয়েলের। বিয়ের পর বালুরঘাটে এসে নতুন ভোটার কার্ড হয় কোয়েল মজুমদার নামে। আবার, দু’জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম পাওয়া গেলেও দুই এপিক কার্ডের নম্বর ভিন্ন। এক্ষেত্রে দুই কেন্দ্রে পৃথক দিনে ভোট হলে একই ব্যক্তির দুই জায়গাতেই ভোট দেওয়া সম্ভব। সেকারণেই কমিশন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে বলে খবর।
কমিশন জানাচ্ছে, বালুরঘাটে নতুন কার্ড তৈরির সময় যদি নির্বাচনী বিধি মেনে ফর্ম-৮ পূরণ করা হলে সমস্যা হত না। যে তথ্য সরবরাহের দায়িত্ব ছিল কোয়েল মজুমদারেরই। কিন্তু তিনি তা না করে ফর্ম-৬ পূরণ করে বালুরঘাটে নতুন কার্ড করান। সেক্ষেত্রে তাঁর পুরনো কার্ডের অস্তিত্ব সম্পর্কে তথ্য অজানা থাকায় জলপাইগুড়ি এবং বালুরঘাট, দু’জায়গাতেই ভোটার তালিকায় নাম রয়ে যায়। যেহেতু দুই জায়গায় পদবি ও এপিক নম্বর আলাদা তাই কোন সন্দেহের অবকাশ হয়নি কমিশনের আধিকারিকদের। স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ পাওয়াতেই এই তথ্য সামনে এসেছে বলে মেনে নিয়েছে কমিশন।
এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে সুকান্ত মজুমদার জানান, “স্ত্রীয়ের বাপের বাড়ি জলপাইগুড়িতে। তাই সেখানে ওঁর নাম ছিল। বিষয়টি নিয়ে যাতে রাজনীতি না হয় তাই ইতিমধ্যে ওই তালিকা থেকে নাম বাতিল করতে আবেদন জানানো হয়েছে।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1925469719060259146
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, দুই কোয়েল একই ব্যক্তি কি না তা ভোটার কার্ডের ছবি মিলিয়ে দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ইআরওকে বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। চলতি সপ্তাহে জেলাস্তর থেকে রিপোর্ট কমিশনে জমা পড়বে। সেটি সরাসরি দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল।